অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, ইনসাফের রাজনীতি করতে চায় এনসিপি : নাহিদ ইসলাম
প্রকাশিত: জুলাই ০৪, ২০২৫, ০৭:১৮ বিকাল

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ বারবার বলেছে, তারা অসাম্প্রদায়িক দল, কিন্তু তারা কখনোই সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে ইনসাফ করেনি। বিগত আমলে আমরা দেখেছি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা অনেক নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁদের জমি দখল করা হয়েছে। তাঁরা কোনো বিচার পায় নাই। আমরা চাই এই নতুন বাংলাদেশে ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তারা সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে।
আজ দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহরের ফকিরগঞ্জ বাজারে এনসিপির উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পঞ্চগড়ে আসেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা নিজ দলের নেতা-কর্মীদের ফেলে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁর পরিবার ও দলের যাঁরা লুটপাট করে বড়লোক হয়েছেন, অনেক বেশি জুলুমবাজ হয়েছেন, তাঁরাও দেশ থেকে চলে গেছেন। দলের সব নেতা-কর্মীকে তাঁরা বিপদে ফেলে চলে গেছেন। তাঁরা কোনো দলের নেতা হতে পারেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গুটিকয়েক মানুষ স্বৈরাচার তৈরি করেছে, ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, এরাই সব সম্পত্তির মালিক হয়েছে। এই একটা মাত্র পরিবার, মুজিব পরিবার।
এরাই সব সম্পত্তির মালিক হয়ে দেশের জমিদারি নিয়ে নিয়েছিল। আমরা এই জমিদারি প্রথা ভেঙ্গেছি গণঅভ্যুত্থানে। নতুন করে যদি কোনো জমিদারি প্রথা, নতুন করে কোনো স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট-চাঁদাবাজ তৈরি হয়, তার বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করতে হবে, তার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বাংলাদেশে নতুন কোনো ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে দেয়া হবে না। কোনো অন্যায়-জুলুম দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রত্যাশা যে, দেশটাকে আমরা নতুন করে গড়ব বৈষম্যহীন ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে। এটি চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসমুক্ত একটা দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে এই গণঅভ্যুত্থানে যেসব তরুণ - আমরা নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, তাঁরা মিলে এই নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। যে পার্টি আপনার কথা বলতে চায়, সাধারণ জনগণের কথা বলতে চায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, ইনসাফের রাজনীতি করতে চায়।
সভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেন।