বাংলাদেশ এখন আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট ব্যবস্থা অর্জনের চিন্তা করছে : ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
প্রকাশিত: জুলাই ০৩, ২০২৫, ১২:৫১ রাত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে মেরিন স্পেশাল ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এমএসডিআই) প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
বিশেষ করে, যখন ঢাকা একটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা ভাবছে, তখন এর প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি এক সেমিনারে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট ব্যবস্থা অর্জনের চিন্তা করছে, যা দেশের সার্বভৌম ক্ষমতা বাড়াবে এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইইজেড পর্যবেক্ষণেও সহায়তা করবে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় পর্যায়ে একটি এমএসডিআই গড়ে তোলা খুবই সময়োপযোগী ও উপকারী হবে।’
গত জুনে ফ্রান্সের নিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সমুদ্র সম্মেলন (ইউএনওসি-৩)-এর পর, ফরাসি দূতাবাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)-তে তাদের ‘ব্লু টক’ সিরিজের তৃতীয় পর্বের আয়োজন করে।
সোমবার কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)’র সহযোগিতায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় বলে আজ ফরাসি দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সেমিনারে বাংলাদেশের এমএসডিআই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। নীতিনির্ধারক, গবেষক, হাইড্রোগ্রাফার ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সমুদ্র খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হন।
এমএসডিআই চালু হলে স্যাটেলাইট ও সামুদ্রিক তথ্য সংরক্ষণ, মানসম্মতকরণ ও একীভূতকরণ সহজ হবে। এসব তথ্য সহজে ব্যবহার করতে পারবে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা, যা টেকসই সামুদ্রিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া উপ-উপাচার্য ড. শামীম উদ্দিন খান ও বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এক্সপার্টিজ ফ্রান্সের ড. টোনিয়া কাপুয়ানো, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমোডর শেখ ফিরোজ আহমেদ এবং শ্রীলঙ্কা ও ইতালির বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই সমুদ্র সুরক্ষায় ফ্রান্সের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘এ রকম একটি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে সুশাসন উন্নত করা, যা জাতীয় এখতিয়ারের বাইরে সামুদ্রিক জৈব-বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি (বিবিএনজে)-তে অন্তর্ভুক্ত।’
বাংলাদেশ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিবিএনজে চুক্তি স্বীকৃতি দেয়ার প্রথম দেশগুলোর মধ্যে থাকায় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
এই সেমিনারটি ‘ব্লু টক’ সিরিজের পূর্ববর্তী পর্বগুলোর পর অনুষ্ঠিত হলো, যেগুলো ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সমুদ্র অর্থনীতি এবং ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে স্যাটেলাইট তথ্য ব্যবহারের ওপর আয়োজন করা হয়েছিল।