বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য আ.লীগের ক্ষমতায় আসা জরুরি ছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৫, ২০২৪, ০৮:২০ রাত
ছবি সংগৃহিত
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের হাতেই বাংলাদেশের কল্যাণ হয়েছে।
সোমবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। বিকালে যৌথসভায় এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এই দলটির দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন আমার পাশে আছে বলেই এতো কিছু করা সম্ভব হচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ কতটা সমর্থন দিয়েছে তা এবারের নির্বাচনেই বোঝা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের ভাগ্য পবির্তন করেছে। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল। দেশের মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছে। আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি সেই ওয়াদা পূরণ করবে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুনঃক্ষমতায় আসা খুব জরুরি ছিল: শেখ হাসিনা
শআওয়ামী লীগ বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে অনেক চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে বলে কৃষিশ্রমিক কম। একজন কৃষককে সারাদিন কাজ করালে টাকার সঙ্গে খাবার দিতে হয়। খাবার এবং ৭-৮শ টাকা দিতে হয়৷ তাই কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
২০০১ সালে নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ অফিসটা হাসপাতাল হয়ে গিয়েছিল উল্লেখ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ অফিস হলো দলের মূল শিকড়। এখানে আসতে হবে। আমি সামনেও বসব। আমাদের শক্তি হলো দেশের মানুষ।
আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন আমাদের নেতাকর্মীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অফিসে ঢুকতে দিত না। চারদিকে পুলিশ ঘিরে রাখতো। অনেক সময় নেতাকর্মীরা আটকা পড়ত। যখন আমি এসব কথা শোনতাম তখন বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম অফিসে এবং নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১ এ নির্বাচনের পর এই অফিসটা হাসপাতাল হয়ে গিয়েছিল কারণ, বিভিন্ন জেলা থেকে আহত নেতাকর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২৮ তারিখে তারা সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করে পুলিশকে হত্যা করল এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে তাদের সমাবেশে উস্কানি দিয়েছে। তারা সমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, পুলিশ হত্যা করল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল, আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রীদের ওপর হামলা করল আবার তারাই (বিএনপি) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে কাঁদে। এ ধরনের ঘটনা তারা আরও ঘটাবে। তারা বলে ২৮ তারিখে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা দেবে কে, কেউ তো ছিল না।
রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে তাই রমজান সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, রমজানে খাদ্যের সরবরাহ ঠিক মতো রাখতে প্রয়োজন মতো আনা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ কষ্টে আছে আমরা জানি। বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে আবার আমাদের দেশে মজুতদার আছে। তবে সামনে রমজান সেই কথা মাথা রেখে প্রয়োজন মতো খাদ্য আনা হচ্ছে। রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে এজন্য প্রয়োজন মতো আনা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপর কিছু খাদ্য বাইরে থেকে আনতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে, পরিবহন খরচের কারণে কিছু দাম বাড়ছে। তবে মানুষের চাহিদা বাড়ছে এবং ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন