সমাজ সভ্যতায় মানবীয় বৈশিষ্ট্যের বিকাশ জরুরি
এম সাদ্দাম হোসেন পবন
প্রকাশিত: জুন ০৬, ২০২৫, ০১:২৫ দুপুর

সমাজ সভ্যতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধির বিষয়টি সবাই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে; যে যার মতো করে নিজেরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারলেই হয়তো দায়মুক্ত।
এমন বৈশিষ্ট্যের ফলে সমাজে ক্রমশই উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বিপদগামী হয়ে পড়ছে।
সমাজ ব্যবস্থায় অপরাধ প্রবনতার ভয়াবহতা নিয়ে গুরুত্ববোধের চিন্তাশীলতা সংকোচিত হয়ে আসায় সম্ভাবনাময় প্রজন্মের ভবিষ্যতের বিষয়টি বিচলিত করতে শুরু করেছে।
মানুষ তার পরিবার কেন্দ্রিক চিন্তার মধ্যে ডুবে থাকায় সামাজিক দায়বদ্ধতার আবশ্যকতা নিয়ে শঙ্কিত হতে হচ্ছে।
প্রজন্মদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি তেমন দেখভালের দায় নেই জন্য সমাজ ব্যবস্থায় ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্বে পুরোপুরি একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক কোন দিক থেকেই সমাজের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে নেই; প্রতিনিয়ত উদ্ভূত পরিস্থিতির শঙ্কা লেগেই থাকে।
দায়হীন সমাজ ব্যবস্থায় প্রত্যেকটি মানুষ নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার কথা বলে চরম বিপদগ্রস্ততায় উপনীত পরিস্থিতিকে আরও গতিসঞ্চারের সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে।
বৈরি আচরনে প্রজন্মের নিয়ন্ত্রণ বড়ই কঠিন, এই বাস্তবতায় সমাজ সংস্কারকের আবির্ভাব বা তাকে মান্য করার প্রবনতা কারো মাঝেই নেই।
প্রতিনিয়ত সামাজিক ভারসাম্যের অবনতি ঘটলেও নতুনত্বের কদরে ন্যায়ের পথ রুদ্ধ তা সত্ত্বেও সামাজিক দায়বদ্ধতার আবশ্যকতা নেই।
উঠতি বয়সের ছেলেরা মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুন নতুন প্রতারনার দিকে ঝুকে পড়ছে এবং মানসিকতার পরিবর্তন হওয়ায় অপরাধ প্রবনতায় সহসাই সম্পৃক্ত হচ্ছে যার ফলে স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাই প্রতারনার ফাঁদে পড়ে মানসিক ভাবে বিপদগ্রস্ত হচ্ছে।
স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া মেয়ে প্রতারনার স্বীকার হলেও তা পরিবার বা সমাজের কারো কাছে সহজেই প্রকাশ করতে পারে না, পরিবার ও নিজের অসম্মানের কারনে নিরব থাকলেও প্রতারকের ভয়াবহতা যখন দিন দিন বাড়তে থাকে তখন আপনাআপনি নিরবতা ভেঙে প্রকাশে বাধ্য করে কিন্তু মানসিক অবস্থা ততক্ষণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।
অপরাধ নির্মূল করতে হলে নতুন প্রজন্মের মাঝে সামাজিক সভ্যতা ও আগামী দিনে তার সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে বিশদভাবে তাকে ধারণা দেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি।