।। আলোক প্রদীপ রুনা খান।।
এম সাদ্দাম হোসেন পবন
প্রকাশিত: জুন ০৭, ২০২৫, ১১:০৩ দুপুর

ওরা কখনও ভাবেনি আলোক দিশারীর পলক পড়বে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দ্বারে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দূর্গম জনপদের এসব জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা আকাশ ছোঁয়ার মতো ছিল কল্পনা মাত্র,বড় রকমের অসুস্থতা বা গর্ভবতী মা'দের চিকিৎসা নিয়ে মহা বিপাকে পড়তে হতো প্রতিনিয়ত ।
জীবন মানের দিক থেকে চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকার চিত্র এখন অনেকটাই ঘুচে গেছে।
সরকারের সদিচ্ছা ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাদের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্য কেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পিছিয়ে পড়া বালুচরের মানুষগুলো অর্থনৈতিক ভাবে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ দোরগোড়া থেকে সব ধরনের সুযোগ গ্রহন করতে পারছে।
২০ বছর পূর্বের দিকে তাকালে দূর্গম চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাথমিক স্তরেই সমাপ্তি ঘটতো শুধু মাত্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারনে। যার ফলে চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা থাকলেও ভৌগোলিক কারনে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে হতো, চরাঞ্চলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংকট এবং বিদ্যালয়ের অবস্থানগত চর থেকে চরের দূরত্বের কারনে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহন করা সম্ভব হয়ে উঠতো না।
এই সমস্যার কারনেই ২০ বছর পূর্বেও কয়েকটি চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার হার ৩ শতাংশ যার মধ্য মাদরাসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী।
নারী জয়িতা ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খানকে চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার প্রধান সমস্যাগুলো পীড়া দিয়ে ছিল। মর্যাদাশীল জয়িতা রুনা খান প্রথমেই জাহাজে ভাসমান হাসপাতালের মাধ্যমে চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণের ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্য শতভাগ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি নারীদের অার্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ও জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ব্যবস্থার ভিৎ রচনায় কাজ শুরু করেন। চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্তরে পাঠদান কার্যক্রমে অভাবনীয় সাফল্য ফ্রেন্ডশিপ স্থাপন করে যার প্রধানতম দিক হলো প্রাথমিক শিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক শিক্ষায় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে ছিল জন্যই শিক্ষাক্ষেত্রে চরাঞ্চলের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। দূর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষা -স্বাস্থ্য ও কৃষি তিন স্তরের সফলতায় ফ্রেন্ডশীপ উন্নয়ন কারিগরের দাবিদার।
চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে রুনা খান আলোক প্রদীপ হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন। অবুঝ শিশু বাচ্চাদের মুখেও রুনা খান নামটি উচ্চারিত হয় যা ভাললাগার এক উজ্বলতম উদহারন ।
মানবিক মনের মানবকল্যানী রুনা খান শুধু নামে নয়-দেশের উন্নয়ন অন্বেষন।
অবহেলিত দূর্গম চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে ফ্রেন্ডশিপ তথা রুনা খান। কার্যক্রম সম্প্রসারিত করনের মাধ্যমে জন-আস্থায় কাঙ্খিত প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে ফ্রেন্ডশিপ এটাই প্রত্যাশা করি।
রুনা খানের এই ছবিটি দেখে একটু লেখতে ইচ্ছা হলো।