ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

যে ৫ কারণে ভারতের হার

স্পোর্টস ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ১১:০৪ রাত  

ছবি সংগৃহীত

১২ বছর পর আরও একবার নিজ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নে বিভোর ছিল ভারত। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আর সত্য হলো কই। আহমেদাবাদে রবিবারের ফাইনালে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে ৬ষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়ার শেষ পর্যন্ত জিতেছে সেরার মুকুট। 

অন্যদিকে টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসা ভারত এদিন ব্যর্থ হয়েছে পুরোদমে। ব্যাটিংয়ে বাউন্ডারি না পাওয়া, বোলিংয়ে নির্বিষ সব ডেলিভারি, সবমিলিয়ে সময়টা পক্ষে ছিল না তাদের। তবে এরমাঝেও ভারতের হারের পেছনে ৫ কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেছে অজিরা।  

১) টসে হার: দিনের শুরুটা নাকি বাকি দিনের কথা জানান দেয়। দিনের শুরুতে দরকার ছিল ভাল কিছুর। তাতেই বাজিমাত অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যদিও সবার বক্তব্যই ছিল, আহমেদাবাদের এই পিচে আগে ব্যাট নেয়ার। কিন্তু পরে বোঝা গেল কামিন্সই ঠিক ছিলেন। ভারত ব্যাট করার সময় পিচ প্রচণ্ড মন্থর এবং শুকনো ছিল। ফলে বল দেরিতে ব্যাটে আসছিল। রান করাও ছিল কঠিন। 

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সময় পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেল। সন্ধ্যা ৭টার পড়তে শিশির পড়তে শুরু করল। সেটাই যেন কাজে লাগল তাদের। ভারতের ম্যাচও শেষ হয়ে যায় ওখানেই। 

২) বাউন্ডারি না থাকা: পুরো ম্যাচেই বাউন্ডারির জন্য হাপিত্যেশ করেছেন ভারতের ব্যাটাররা। দুই দফায় মোট ৩৫ ওভার বাউন্ডারি বঞ্চিত ছিল ভারত। বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল ক্রিজে লম্বা সময় পার করলেও বাউন্ডারির দেখা পাননি। আবার ২৯তম ওভারে বাউন্ডারির পর আরও একবার খরার মাঝে পড়তে হয় তাদের। বাউন্ডারির এই স্বল্পতায় স্কোরবোর্ডেও বড় রান জমা করা হয়নি তাদের।  

৩) লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যর্থ: পুরো বিশ্বকাপে এর আগে এমন পরীক্ষা দিতেই হয়নি ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারে। ফাইনালেই তাদের বড় পরীক্ষার মঞ্চ। আর তাতেই যেন ব্যর্থ দলটি। সূর্যকুমার আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে। হতাশ করেছেন অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজাও। ফাইনালে মোটে ৯ রান করলেন। সূর্যের রান ছিল মোট ১৮। 

৪) দুর্দান্ত ফিল্ডিং: অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। বাউন্ডারি লাইনে ছিল অনবদ্য। ভারতের কমপক্ষে ৪০-৪৫ রান বাঁচিয়েছে।  অতিরিক্ত রান দিয়েছে মোটে ১২। সেখানে ভারতের ফিল্ডারেরা যথেষ্ট বাজে ফিল্ডিংয়ের পরিচয় দিয়েছেন। 

৫) ট্রাভিস হেড এবং ল্যাবুশেন: সাত ওভার এবং ৪৭ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৩টি উইকেট ফেলে দেওয়ার পর যেন আচমকাই হারিয়ে গেল  ভারতীয় বোলাররা। হেড আর ল্যাবুশেনের ম্যাচ জেতানো জুটির বিপরীতে কিছুই করা হয়নি ভারতীয় বোলারদের। ম্যাচটাও ওখানেই হেরেছে তারা।