ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে ঘর-বাড়িসহ ১ হেক্টর আবাদি জমি নদীগর্ভে

বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নদী ভাঙনে বিলীন হওয়ার আশংকা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৩:৫৯ দুপুর  

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর দত্তের খামার এলাকা থেকে তোলা।

অব্যাহত নদী ভাঙনের কারনে যে কোন সময় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর দত্তের খামার হতে ফুল মিয়ার বাজারের সামন পর্যন্ত তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নির্ঘুম রাত জেগে ভাঙন আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছে,অব্যাহত নদী ভাঙনে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি,পানি ওয়াপদার লোকরা কেন আসে না তা বুঝি না।
এক মাসের অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে বাস্তভিটসহ ১'শ হেক্টর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর জানায়, ওই ভাঙনে জন গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা,বিদ্যালয় ভবনসহ ব্যাপক ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে নদী ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা ডিপিপি প্রনয়ন করে বোর্ডের মাধ্যমে  প্লানিং কমিশনে পাঠানো হয়েছে। 
 বিভিন্ন রিপোর্ট উপস্থাপন এবং কয়েক বার পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছি।   
 
শ্রীপুরের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ মাতব্বর জানান, নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করতে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এরই মধ্যে প্রায় ঘর-বাড়ীসহ ১ হেক্টর ফসল থাকা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
 
শ্রীপুরের দত্তের খামার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি খোরশেদ আলম বলেন,আর কত ঘর বাড়ি ফসলি জমি নদীর্গভে চলে গিয়ে মানুষ সর্বশান্ত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে! দীর্ঘ সময় ধরে যোগাযোগ করেও এই এলাকায় কোন কাজ করছে না ওয়াপদা। 
 
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলী মোহন সরকার জানান, শ্রীপুরের দত্তের খামার হতে কাপাসিয়ার কিছু অংশ নিয়ে একটি ডিপিপি প্রনয়ন করা হয়েছে এবং আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে কাজ শুরু করা যায়।