গাইবান্ধা সদরের কামারজানী বালু মহাল প্রত্যাহার সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সরেজমিনে পরিদর্শন
ঐতিহ্যবাহী বন্দরসহ ফসলি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রক্ষায় দ্রুত ঘোষিত বালু মহাল প্রত্যাহার দাবিতে অনড় স্থানীয়রা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৮, ২০২৫, ০৫:৩৮ বিকাল
কামারজানী মৌজায় ঘোষিত বালু মহাল প্রত্যাহার সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী মৌজায় সরকার কর্তৃক ঘোষিত বালু মহাল প্রত্যাহার সংক্রান্ত জনগনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মনোনীত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল দশটায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহামুদ আল হাসান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক,বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধি মো. মোতাব্বের হোসেন, জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার,উপজেলা প্রকৌশলী মো. বাবলু মিয়া প্রমূখ।
এসময় তদন্ত কমিটির সাথে ছিলেন কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, উন্নয়ন সংগঠক এম সাদ্দাম হোসেন পবন, ঘোষিত বালু মহাল প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মো. ইকবাল হোসেন, সদস্য সচিব মো. মাজু আহমেদ,সাবেক ইউপি সদস্য আবু তালেব আকন্দ,এমদাদুল হক,কামারজানী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. মাহাবুবুর রহমান সহ স্থানীয়রা।
আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা তদন্ত কমিটির নিকট এলাকার প্রভাব নিয়ে বলেন, বালু মহাল বিগত সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থে কুচক্রী ব্যক্তিরা প্রক্রিয়া চলমান রেখে ছিল যা কোন ভাবেই জনমত যাচাই-বাছাই বা পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব বিবেচনা না করেই বর্ণিত মৌজায় বালু মহাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ফলে উক্ত বালু মহাল কার্যকর হলে ফসলি আবাদ ভূমির ক্ষতিতে কৃষি উৎপাদন ব্যহত, নিকটবর্তী ঐতিহ্যবাহী কামারজানী বন্দর এবং বন্দরের প্রানকেন্দ্রে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ নদী তীরবর্তী ঘনবসতিপূর্ন এলাকা নদীগর্ভে বিলীনের মারাত্মক ঝুঁকিতে উপনীত হয়েছে।