ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হিমেল বাতাসে ধুলাবালির বাড়বাড়ন্ত-সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, করণীয় কী?

নিউজ ডেক্স

 প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩, ০১:৫৭ দুপুর  

ছবি সংগৃহিত

দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে শীত। প্রকৃতিতে এখন সর্বত্রই হিম হিম ভাব। বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণও অনেক বেড়েছে। নাক-মুখ দিয়ে প্রতিনিয়ত ফুসফুসে ধুলাবালি ঢুকছে। এ কারণে বাড়ছে চুলকানি, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ।

এসব রোগে শিশু, বৃদ্ধ এবং যাদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলিকনা সহজেই ফুসফুসে ঢুকে পড়ে ও মারাত্বক ক্ষতি করে। এর থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে ফুসফুসের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে অনেকাংশে রেহাই পাওয়া যাবে।

অ্যাজমা বা হাপানির পেছনে মূলত মাইট নামক ক্ষুদ্র কীট দায়ী। বিছানা, বালিশ, কার্পেট হলো মাইটের আদর্শ বাসস্থান। এই মাইট মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং অ্যালার্জি বাড়ায় যা অ্যাজমায় রূপান্তরিত হয়। তাই শীতকালে জানালা-দরজার পর্দা, কার্পেট, কম্বল নিয়মিত পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে।

শীতে যাদের শ্বাসকষ্ট বাড়ে তাদের অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে। এসময় নিয়মিত মুখে মাস্ক পরতে হবে। এসময় সামান্য পরিমাণ ধুলাও তাৎক্ষণিক সমস্যা করতে পারে। যেমন চোখ জ্বালাপোড়া, হাঁচি-কাশি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার যাদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাদের অল্পতেই সমস্যা জটিল হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ সর্দি-কাশি সারাতে মধু যেভাবে খাবেন

যদিও প্রাকৃতিক ধুলা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। তবে মানবসৃষ্ট ডাস্ট অনেকাংশে কমানো সম্ভব। বাসাবাড়ির ধুলা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস থেকে ধুলা তৈরি হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসার মেঝে, আঙিনা, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণী যেমন কুকুর, বিড়াল, খরগোস ইত্যাদি থাকলে তাদেরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

এছাড়া সড়ক ও বাসাবাড়ির আশপাশে পানি ছিটানো যেতে পারে। এতে ধুলাবালির ওড়াউড়ি কমানো সম্ভব। বাড়ির জানালা-দরজা দিয়ে নিয়মিত আলো-বাতাশ প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।

খোলা জায়গায় কাঠের সমিল, পাথর ভাঙা, ইট ভাঙা ইত্যাদি না করা। কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় মুখে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আশপাশে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

রাস্তাঘাট এমনভাবে নির্মাণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ধুলাবালি তৈরি না হয়। এসময় মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। এতে সহজেই এই ধুলাবালির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন