বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার ৫ কারণ
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ১১:৩২ রাত
ম্যাচের আগে সমর্থকদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেছিলেন, বাকি পাঁচটা ম্যাচে অনেক হিসেব বদলে যেতে পারে। কিন্তু মুম্বাইয়ে যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ, তাতে বাস্তবতা বিচারে সেমিফাইনালের আশা যে শেষ তা বলাই বাহুল্য।
চলতি বিশ্বকাপে টাইগারদের ব্যর্থতার পেছনের অনেক কারণ রয়েছে। তবে নিচে পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
ব্যাটিং বিপর্যয় : চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় চোখে পড়ার মতো। টপ-অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় মূলত কার্যত পিছিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ভারত ম্যাচ ব্যতীত সব ম্যাচেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে টপ-অর্ডার। বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছেন তানজিদ হোসেন তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তওহীদ হৃদয়ের মতো ব্যাটাররা।
সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা : বিশ্বমঞ্চে সুযোগ কাজে না লাগাতে পারাও বাংলাদেশের হারের অন্যতম কারণ। সাকিব বাহিনী সেই সুযোগ লুফে নিতে পারছে না। টাইগারদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে প্রথম দুই উইকেট বেশ কম রানে ফেলে দেওয়ার পর বোলাররা যদি আরও দুই থেকে তিনটে সুযোগ তৈরি করতে পারতো, তাহলে খেলার মোড় ঘুরে যেত।
তরুণরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ : চলতি বিশ্বকাপে তরুণদের ওপরেই আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে তারা দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারছেন না। নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না তানজিদ, হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো ক্রিকেটাররা। তরুণ দায়িত্ব নিতে পারলে ভালো কিছু পেতে পারতো বাংলাদেশ।
ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন : চলতি বিশ্বকাপে রীতিমতো ছেলেখেলা চলছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। বিশেষ করে মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং পজিশন বারবার পরিবর্তন বাংলাদেশের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
পেসারদের ব্যর্থতা : বিশ্বকাপের আগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তাসকিন-শরিফুলরা। তবে বিশ্বকাপে বরাবরই হতাশ করছেন তারা। শুরুতেই চাপে ফেলতে না পারায়, বড় সংগ্রহ পাচ্ছে প্রতিপক্ষ দলগুলো।