ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ

গাজা যুদ্ধে মিত্রদের চাপে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ১০:০৫ রাত  

ছবি সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধের জন্য বুধবার ইসরায়েল তার মিত্রদের কাছ থেকে চাপের মুখে পড়েছে। ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে ‘নির্বিচার’ বোমাবর্ষণের সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদও বিধ্বস্ত অঞ্চলে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি অবাধ্যতামূলক প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার এবং জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে গাজায় ভয়ংকর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।  
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইসরায়েলি হামলায় ১৮,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।মন্ত্রনালয় বুধবার জানিয়েছে, গাজা অঞ্চল জুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলার সর্বশেষ হামলায় কমপক্ষে আরও ৫০ জন নিহত হয়েছে।

বাইডেন ওয়াশিংটনে একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে বলেছেন, হামাসের হামলার পর ইসরায়েল ‘বেশিরভাগ বিশ্বের সমর্থন পেয়েছে’। ‘কিন্তু নির্বিচারে বোমা হামলার কারণে তারা সেই সমর্থন হারাতে শুরু করেছে।’ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, ‘নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা এখন বড় উদ্বেগের বিষয়’।অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে উল্লেখ করে ওয়াশিংটন কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলকে গাজায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে আরও সচেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।  

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, গাজা কীভাবে শাসিত হবে তা নিয়ে বাইডেনের সাথে একটি ‘বিরোধ’ তৈরি হয়েছে, যা মিত্রদের মধ্যে একটি বিরল ফাটল তৈরি করেছে।অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের নেতারা  ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্ররা একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছে, হামাসকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জন্য ‘নিরন্তর দুর্ভোগ’ গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, জাস্টিন ট্রুডো এবং ক্রিস্টোফার লুক্সন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ স্থান হ্রাসে আমরা শঙ্কিত।’‘হামাসকে পরাজিত করার মূল্য সমস্ত ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের ক্রমাগত দুর্ভোগের মাধ্যমে হতে পারে না।’

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করার পরে তারা বিবৃতি দিয়েছে। এতে ১৯৩টির মধ্যে ১৫৩টি সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে পক্ষে ভোট দেয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলেও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার নিন্দা করার প্রস্তাব গুলোকে নিয়মিত সমর্থন করে এমন দেশগুলোর সংখ্যা ১৪০ বা তার বেশি দেশ গাজায় যুদ্ধ বিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘পৃথিবীতে নরক’ হিসাবে বর্ণনা করার সময় এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হলো।