সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী কনস্টেবলকে মারধর করে টাকা ছিনতাই, আটক ঢাবি ছাত্র
প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৩, ২০২৪, ১২:৪০ রাত
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারী কনস্টেবলকে মারধর এবং সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এছাড়াও একই ঘটনায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি মো. মোস্তাজিজুর রহমান। গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম আজহা ইসলাম, তাঁকে ভুক্তভোগীর মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যরা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী মোর্তজা হাসান খান (ফাহিম), ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিফ আজীম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন সোহাগ, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন ও উর্দু বিভাগের বিপ্লব। অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শাহবাগ থানা ও ঢাবি প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বিবরণ অনুসারে শনিবার রাতে গোপালগঞ্জের একটি থানায় কর্মরত এক নারী কনস্টেবল জেসমিন ও তার ভাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে আসে। পেশাগত পরিচয় দেওয়ার পরেও আজহা ও তার সহযোগী কয়েকজন বন্ধু মিলে জেসমিন এবং তার ভাইকে হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা পুলিশ কনস্টেবলের গায়ে হাত তুলে ও তাদের কাছে থাকা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ সময় ওই নারী কনস্টেবল আজহাকে ধরে ফেলেন তবে আজহার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে আজহাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবল এবং তিনি নিজে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার আজহারের স্বীকারোক্তি অনুসারে বাকি ৫ জনের নামও মামলায় যোগ করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের সাথে যারা যুক্ত তাদের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। একজনকে আটক করা হয়েছে। এখন ডিবি বিষয়টি তদন্ত করবে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, ঘটনায় নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। এছাড়াও ঢাবির অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাদের খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।