ঢাকা, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

খেজুর গুড়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন

নিউজ ডেক্স

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৮, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর  

ছবি সংগৃহিত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে খেজুর গুড়। উপজেলার একটি খামারের শতাধিক গাছ থেকে রস আহরণ করে উৎপাদন করা হচ্ছে এসব খেজুর গুড়।

স্থানীয় খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি এসব গুড়ের স্বাদ এবং মিষ্টতা দেশের খেজুর গুড় উৎপাদনকারী প্রসিদ্ধ এলাকাগুলোর চেয়েও উন্নত বলে দাবি উৎপাদনকারীদের। এখানকার খেজুর গুড় ভেজালমুক্ত ও উন্নতমানের হওয়ায় এ গুড়ের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। 

জানা গেছে, দেশের খেজুর গুড় উৎপাদনের শীর্ষ জেলা যশোর, ফরিদপুর, রাজশাহী ও নাটোর হলেও এখন গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে বাণিজ্যিকভাবে গুড় উৎপাদন শুরু হয়েছে। দুই বছর ধরে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার সরকারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ১০৪টি গাছের রস সংগ্রহ করে গুড় উৎপাদন করা হচ্ছে। আবদুল মান্নান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি এই গুড় উৎপাদনের উদ্যোক্তা।
আবদুল মান্নান জানান, খামার মালিকের কাছে মৌখিক চুক্তিতে নেওয়া এই গাছগুলো থেকে প্রতিদিন রস আহরণ করে গুড় উৎপাদন করা হচ্ছে। খেজুর গাছের রস থেকে গুড় তৈরির জন্য রাজশাহী থেকে পেশাদার গাছি (খেজুর গুড় প্রস্তুতকারক) শ্রমিকদের আনা হয়েছে। 

তিনি জানান, গোবিন্দগঞ্জ মৎস্য বীজ ও পোনা উৎপাদন খামারের খেজুরের এ গাছগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে এর একটি অংশ থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ লিটার রস সংগ্রহ করছেন তারা। মৌসুমের শুরু থেকেই প্রতিদিন ভোর থেকে সংগ্রহ করা রস চুলায় জ্বাল দিয়ে ২৮ থেকে ৩০ কেজি গুড় উৎপাদন করা হচ্ছে। 

খেজুর গুড় শ্রমিকরা (গাছি) জানান, এখানকার খেজুরের রসের মান খুব ভলো হওয়ায় এ থেকে ভালো মানের গুড় তৈরি হচ্ছে। উৎপাদিত গুড়ের স্বাদ ও মিষ্টতা দেশের গুড় উৎপাদনকারী প্রসিদ্ধ জেলাগুলোর চেয়েও ভালো বলে দাবি তাদের। 

গুড় তৈরির কারিগর আবদুল মমিন জানান, কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ ছাড়াই ভেজালমুক্তভাবে উৎপাদিত এ খেজুরের গুড়ের বেশ চাহিদা রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। খেজুরের গুড় কিনতে আসা ক্রেতাদের সামনে বসিয়ে রেখে গুড় তৈরি করে দেওয়ায় নির্ভেজাল গুড় পাচ্ছেন তারা। 

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জানান, খেজুরের রস সংগ্রহ করে যাতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে উৎপাদন করা হয় এজন্য গুড় প্রস্তুতকারকদের সচেতনতার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা। 

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, জেলায় খেজুরের রস থেকে গুড় উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তুতকারকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন