ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজার সদর থানাধীন পৌর শহরের লিংক রোড এলাকা থেকে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামী মোঃ তারেক’কে মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৯, ২০২৪, ০৯:৫৫ রাত  

ছবি সংগৃহীত

র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় হত্যা, অপহরণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ও ধর্ষণসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করছে।
 
গত ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ কক্সবাজার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়া স্থানীয় মালয়েশিয়া জুমা মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে ঝাউবনের ভিতর ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার দিন ভিকটিমের পিতা তার নাতির বিবাহ অনুষ্ঠানে বেড়াতে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই জামাল উদ্দিন তাকে টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে আসতে বললে ধর্ষক তারেক ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে কক্সবাজার সদর থানাধীন পৌরসভার পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়া স্থানীয় মালয়েশিয়া জুমা মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে ঝাউবনের ভিতরে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে ভিকটিমের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে লোকজন উপস্থিত হলে ভিকটিম এবং ধর্ষক তারেকসহ ভিকটিমের বড় ভাই জামালের বাড়িতে নিয়ে গেলে ভিকটিম ঘটনার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আসামী তারেক জামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় এবং ভিকটিমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সন্তানদের মারধরসহ মৃত্যুর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। অতঃপর ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবার স্থানীয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
 
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে কক্সবাজার সদর থানায় উক্ত ধর্ষককে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫৭/৫৭, তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ । ঘটনার পর থেকে ধর্ষক তারেক গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে এই বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
 
বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত হওয়া মাত্রই উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সে কক্সবাজার সদর এলাকায় অবস্থান করছে। অবশেষে তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করতঃ র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল মামলা দায়ের হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অদ্য ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ১২.৪৫ ঘটিকায় কক্সবাজার সদর থানাধীন লিংক রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মোঃ তারেক (১৯), পিতা-মোঃ হামিদ, মাতা-খালেদা বেগম, সাং-পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তারেক ভিকটিমকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।