২৪২ ক্যান বিয়ারসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১১, ২০২৪, ০৯:৪৫ রাত
ছবি সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন দেগিল্লার বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪২ ক্যান বিয়ার উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব বদ্ধ পরিকর। র্যাব-১৫, কক্সবাজার মাদক, অপহরণ, খুন, ডাকাতি এবং ছিনতাই সহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অদ্যবধি আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের দেগিল্লার বিল এলাকার জনৈক নুরুল আলমের বসত ঘরের ভিতর মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য বিপুল পরিমাণ ক্যান বিয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১০ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ অনুমান ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দুইজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা তিনটি বস্তাসহ পালানোর চেষ্টাকালে একজনকে হাতেনাতে আটক করে এবং অপর একজন ব্যক্তি মাদকের বস্তা ফেলে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর দেহ ও তার বসত ঘর তল্লাশী করে পলিথিন ব্যাগ ও মাটির নিচে পুঁতে রাখা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে সর্বমোট ২৪২ (দুইশত বিয়াল্লিশ) ক্যান বিয়ার (প্রতিটির গায়ে ইংরেজীতে যথাক্রমে ANDAMAN GOLD LAGER SPECIAL BEER ALC 6.5% ABV, ANDAMAN GOLD ALC 5% ABV LAGER BEER, Myanmar Lager Beer ALC 5% ABV, LA CERVEZA ESPECIAL LAGER BEER el Diablo SUPER STRONG BREW 12% ALC লেখা আছে) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় মোহাম্মদ আলম (২৯), পিতা-নুরুল সালাম, সাং-দেগিল্লার বিল, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অন্য একজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত এবং পলাতক আসামী বিদেশী ক্যান বিয়ার বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে অবস্থান করছিল। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘদিন যাবত বিয়ার ক্যানসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে রেখে টেকনাফসহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে থাকে মর্মে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত ক্যান বিয়ার’সহ ধৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।