নড়াইলে অবৈধ সিমসহ দুই অনলাইন প্রতারক গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১১, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
ছবি সংগৃহীত
নড়াইলে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিম, সিম নিবন্ধনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার,বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাবসহ দুইজন অনলাইন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, কালিয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে মো. সবুজ শেখ (৩৫) ও খুলনা সদরের ট্র্যাফিক মোড় এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে মো. মাহফুজুর রহমান (২৩)।
এসময় ১২৬টি অবৈধ সিম, ২টি সিম নিবন্ধনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, ২টি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব ও ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. মেহেদি হাসান প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের জানান,গতবছরের ২৬সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার ভওয়াখালী গ্রামের আবু বক্কর মোল্লার ছেলে তৈয়ব আলী মোল্লা ‘ডিএসএলআর ক্যামেরা বাজার স্টোর’ থেকে ক্যামেরা ক্রয়ের জন্য ৫ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করে। অগ্রিম টাকা পাওয়ার পরেও প্রতারক চক্র ক্যামেরা প্রদান না করে বিভিন্ন ছলচাতুরী করে ক্রেতাকে ফাঁদে ফেলে তার নিকট থেকে আরো ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তৈয়ব আলী ক্যামেরা না পেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। নড়াইল সদর থানার মামলা নং-২৮,ধারা-৪০৬/৪১৯/৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়।
১০ জানুয়ারি রাতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও জেলা গোয়েন্দা শাখা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে কালিয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে মো. সবুজ শেখকে (৩৫) কালিয়া থানার যাদবপুর বাজার থেকে অবৈধ সিম বিক্রয়ের সময় ৯০টি সিমসহ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি সবুজ শেখের দেওয়া তথ্যমতে অন্যের নামে নিবন্ধনকৃত অবৈধ সিম বিক্রয়ের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করার জন্য খুলনা মহানগরীতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই আলী হোসেন, এসআই মোঃ ফিরোজ আহম্মেদসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই মোঃ আনিসুজ্জামান ও এএসআই মো. মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে। ১০ জানুয়ারি রাতে খুলনা সদরের ট্র্যাফিক মোড় এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে মূলহোতা মোঃ মাহফুজুর রহমানকে (২৩) খুলনা মহানগরীকে রুপসা পশ্চিম ঘাট এলাকা থেকে ২টি সিম নিবন্ধনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব এবং অবৈধ ৩৬টি সিমসহ গ্রেপ্তার করে।
মাহফুজুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে ২০১৯ সালে রবি মোবাইল সিম কোম্পানির খুলনাতে সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর) পদে চাকুরি করতো। যার সুবাদে তার কাছে সিম নিবন্ধনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এবং ট্যাব থাকতো। পরবর্তীতে সে লোভের বশবর্তী হয়ে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য উক্ত কোম্পানির স্ক্যানার ও ট্যাব নিয়ে পালিয়ে এসে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করতে থাকে। মাহফুজুর রহমানের নিকট হতে সবুজ শেখ প্রতিটি সিম ৬০০ টাকা মূল্যে ক্রয় করে ১ হাজার ৫০০ টাকা দামে কালিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে। প্রতারক চক্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজর এড়ানোর জন্য মানুষকে প্রতারিত করতে অন্যের নামে নিবন্ধনকৃত সিম ব্যবহার করে থাকে। তারা এসব অবৈধ সিম-এ বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আকৃষ্ট করে পণ্য না দিয়ে সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে।