১ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৬:৩৬ বিকাল
ছবি সংগৃহীত
কক্সবাজার টেকনাফের পূর্ব সিকদারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ দুইজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১০.১৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টাকালে আভিযানিক দল দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং কতিপয় মাদক কারবারী তাদের সাথে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের হেফাজতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। সাইফুল প্রকাশ আতর সাইফুল (৩০), পিতা-শামশুল আলম প্রকাশ আতর শামশু, মাতা-নুর নাহার বেগম, সাং-পূর্ব সিকদারপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড এবং ২। মোঃ জোবায়ের (১৯), পিতা-আবু তাহের, মাতা-ফুলবাহার, সাং-পশ্চিম সিকদারপাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, উভয় ইউনিয়ন হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয় পলাতক মাদক কারবারীদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা নিত্য নতুন অভিনব পন্থায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা চালান সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছিল। মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদসহ ইয়াবার চালান স্থানীয় এলাকায় বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কক্সবাজার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।