ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

পঞ্চাস হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩, ১০:০০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজার টেকনাফের খয়রাতিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
 
র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। র‌্যাব-১৫ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‌্যাব বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকসহ হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত/গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার এবং সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ দমনে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
 
র‌্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের খয়রাতিপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুল গফুর এর বসত ঘরের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কতিপয় মাদক কারবারী অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘরে থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আব্দুল গফুর নামে এক মাদক কারবারীকে আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মাদক কারবারীর দেহ ও বসত ঘর তল্লাশী করে তার বসত ঘরের উত্তর পাশের কক্ষে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা কালো রংয়ের পলি ব্যাগের ভিতর হতে সর্বমোট ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
 
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় আব্দুল গফুর (৫২), পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান, মাতা-মোছা ফাতেমা খাতুন, সাং-খয়রাতি পাড়া, ওয়ার্ড নং-০৪, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আব্দুল গফুর অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবার চালান সংগ্রহপূর্বক নিজের হেফাজতে বসত ঘর’সহ বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে প্রশাসনের গ্রেফতার এড়াতে তার সুবিধামত মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে স্থানীয় এলকাসহ টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছিল বলে জানা যায়।
 
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।