৫০,০০০ পিস ইয়াবাসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ১০:৩৭ রাত
ছবি সংগৃহীত
কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার সব সময় অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়/অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান সকাল ০৯.১০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে সিরাজ মোস্তফা নামে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অপর দুইজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তি দেহ ও সাথে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ছবি সংগৃহীত
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় সিরাজ মোস্তফা(২৮), পিতা-নুরুল ইসলাম, সাং-মৌলভীপাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, সদর ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী এবং পলাতক আসামী দীর্ঘদিন যাবত যোগসাজসে মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত এবং মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে এবং অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়। অদ্য উপরোল্লিখিত মাদকসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।