ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কনস্টেবলকে রেখে ইলিশ নিয়ে পালালেন পুলিশ কর্মকর্তা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ০৮:০১ রাত  

ছবি সংগৃহীত

দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। ইলিশ পেলেই জব্দ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় আটক করা হচ্ছে জেলেদের। 

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রবিউল ইসলাম, কনস্টেবল ইকবাল হোসেন ও  হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান অভিযানে যান। উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চরমনপুরা এলাকায় পুলিশ দেখে ভ্যানে মাছ ফেলে পালিয়ে যান জেলেরা। ছোটবড় মিলিয়ে ২০টি ইলিশ মাছ মোটরসাইকেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন এসআই রবিউল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবাল হোসেন। চরমনপুরা ব্রিজের ওপর সাংবাদিকরা ছবি তুলে প্রশ্ন করতেই কনস্টেবল ইকবাল হোসেনকে ফেলে রেখে ইলিশ মাছ নিয়ে পালিয়ে যান এএসআই রবিউল ইসলাম। 

আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারে ৬০,০০০ পিস ইয়াবাসহ ০৪ জন মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ জেলেদের থেকে ইলিশ মাছ কেড়ে নেয়, পকেটে টাকা পয়সা যা পায় তা নিয়ে চলে যায়। কিন্তু জেলেদের ছেড়ে দেয়। মাছগুলো তারা গোপনে বিক্রি করে ও নিজেদের জন্য নিয়ে যায়। তারই অংশ হিসেবে আজ জেলেদের থেকে মাছ নিয়েছিল পুলিশ। মাছগুলো জব্দ না করে তারা নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সাংবাদিকরা টের পেলে এক পুলিশ অপর পুলিশ সদস্যকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

চরভূঁয়াই গ্রামের রোমান শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষ ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে থামিয়ে পাশে নিয়ে পকেটের টাকা পয়সা ও ইলিশ নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কাউকে ইলিশ মাছসহ গ্রেপ্তার করতে দেখিনি তাদের।

কনস্টেবল ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। আপনি আমার সিনিয়র স্যারের (হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) সঙ্গে কথা বলুন।

হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভ্যানে মাছ রেখে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ার পর মাছগুলো আমরা নিয়ে এসেছি। জব্দ তালিকা করা হয়নি। ওসি স্যারকে জানিয়ে আমরা মাছ নিয়ে যাচ্ছি। ওই পুলিশ সদস্য বুঝতে না পেরে দৌড় দিয়েছেন। পরে জব্দ তালিকায় মাছগুলো দেখানো হবে। 

ভ্যানটি কেন জব্দ করা হলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভ্যানটি জব্দ করা হয়নি।এদিকে এএসআই রবিউল ইসলাম বলেন, ভাই, আমার চাকরিটা যাবে। বিষয়টি বাদ দেন। 

গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাছ পাওয়া গেলে পুলিশ জব্দ করে মাছগুলো নিয়ে আসতে পারে। তবে তাদের আগে জব্দ তালিকা করতে হবে। এরপর মাছগুলো এতিমখানায় দিয়ে দেবে। দৌড় কেন দেবে তারা।