কক্সবাজারে ৬০,০০০ পিস ইয়াবাসহ ০৪ জন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ০৭:৪১ বিকাল
ছবি সংগৃহীত
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার সব সময় অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া ও আশপাশ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৫.১০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সদর কোম্পানী এবং সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ০৪ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ ও সাথে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ তল্লাশী করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০৪টি এনড্রয়েড ফোন এবং ০৪টি সিম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিস্তারিত পরিচয় ১। সৈয়দুল হক @সিদু (২৫), পিতা-মোঃ রফিক, মাতা-রশিদা বেগম, সাং-মৌলভীপাড়া, ২। সেলিম উল্লাহ (৩৩), পিতা-ইউসুফ জালাল, মাতা-জোহরা খাতুন, সাং-মৌলভীপাড়া, ৩। ইফসুফ (৩৬), পিতা-বদিউল আলম, মাতা-চেমন বাহার, সাং-নাজিরপাড়া এবং ৪। ফারুক (২০), পিতা-রফিক, মাতা-রহিমা, সাং-নাজিরপাড়া, সকলের ০৮নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-সদর, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে যানা যায়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তিরা তাদের সাথে থাকা অন্য একজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে।
ছবি সংগৃহীত
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা এবং পাঁচারের সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন কৌশলে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে থাকে। তৎপরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় মজুদ করে খুবই চতুরতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে আসছিল বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।