ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সকল সদস্যকে সতর্ক থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ০৮:২৩ রাত  

ছবি সংগৃহীত

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেছেন, গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সকল সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে কেউ গুজব সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। সমাজের বিশৃঙ্খলাকারী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
 
আজ সোমবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যে কোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।
 
 
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত সব সময়ই কাজ করতে হয়। যে কোনো সময় যে কোন প্রয়োজনে যে কোন জায়গায় যেতে হয় পুলিশকে। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সু-শৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য। আমাদের কাজে-কর্মে শৃঙ্খলার পরিচয় দিতে হবে। সঠিক বিধি অনুসরণ করে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করতে হবে।তিনি আরো বলেন, সারা দেশের মত রাজধানীতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে নিত্য নতুন প্রযুক্তির কারণে অপরাধের ধরন অনেক পাল্টে গেছে। এজন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ও মূল অপরাধীকে খুঁজে পেতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
 
তিনি বলেন, যানজট নগরবাসীর জন্য একটির অন্যতম বড় সমস্যা। প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। যানজট কমাতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকার যানজটপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইতিমধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের অবকাঠামোগুলোকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । যাতে করে নগরবাসী এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।
 
তিনি বলেন, মামলা তদন্ত ও মনিটরিং এর ক্ষেত্রে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। যাতে করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মামলা তদন্ত শেষ করা যায়। কোন অপরাধী যেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোন কারণে খালাস না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে কোন কাজ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষ যে ভাবে নির্দেশনা প্রদান করবে সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।
 
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা সঠিকভাবে তামিল করতে হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত কোন ব্যক্তি যাতে সমাজের মূল স্রোতের সাথে মিশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। চুরির মামলা, ছিনতাই মামলা, চোরাই গাড়ি উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুন বিপিএম, পিপিএম-বার-এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।