ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এবার শীত নিয়ে দুঃসংবাদ

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ১২:২৫ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

চলে এসেছে ডিসেম্বর। তবে প্রতি বছরের মতো এবার সারা দেশে এখনো শীত জেঁকে বসেনি। প্রতিদিনই একটু একটু করে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। রোববার দেশের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এতে করে শনিবারের চেয়ে রোববার শীতের অনুভূতিও বাড়বে। শীতের অনুভূতি বাড়ার এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সন্ধ্যায় তাপমাত্রা আরও কমার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকৃতিতে এখন হেমন্তের বিদায়ের সুর। শীতকাল আগমনের এমন ক্ষণে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই সময়ে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা একটু বেশি কমছে। যেমন শনিবারের মতো রোববারও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রোববার রাতের তাপমাত্রা শনিবারের তুলনায় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শেষ রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আর দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক শনিবার সন্ধ্যায় জানান, শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে। সামনের দুই দিন আরও তাপমাত্রা কমবে। ঢাকাসহ সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা কমবে। তবে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে বেশি কমবে।

শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে। তার পরের পাঁচ দিনের তাপমাত্রাও ক্রমে কমতে পারে।

শনিবার দেশে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের একটি জেলা ছাড়া সব জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শনিবার ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অন্যান্য অঞ্চলের কোথাও কোথাও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একটু বেশি ছিল। শনিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে টেকনাফে ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ মাসের শেষের দিকে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু (৮–১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬-৮) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।