ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৬ বলে ৬ উইকেট, বিশ্বকাপের মাঝেই ক্রিকেটে নজির

স্পোর্টস ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৩:৪৬ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল পাঁচ রান। হাতে ছিল ছয় উইকেট। সেখান থেকে শেষ ওভারের ৬ বলে ৬ উইকেট নিয়ে ৪ রানে ম্যাচ জেতালেন বোলার গ্যারেথ মর্গ্যান। আর অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় ডিভিশনের ম্যাচে। যা দেখে হতবাক ক্রিকেট বিশ্ব।

তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় উইকেট নেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। অতীতেও এক ওভারে ৬টি উইকেট নেওয়ার নজির আছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এক ওভারে অ্যালেড ক্যারি ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন।

কারারা কমিউনিটি সেন্টারে গোল্ড কোস্ট প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় ডিভিশনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুদগিরাবা নেরাং অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাব এবং সারফার্স প্যারাডাইস। ৪০ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মুদগিরাবা। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভালো জায়গায় ছিল সারফার্স। ৩৯ ওভার শেষে সারফার্সের স্কোর ছিল চার উইকেটে ১৭৪ রান। অর্থাৎ জয়ের জন্য শেষ ওভারে মাত্র পাঁচ রান দরকার ছিল সারফার্সের। আর তারপরই ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনাটি।

প্রথম বলেই জেক গারল্যান্ডকে আউট করেন মরগ্যান। ডিপ মিড-উইকেটে ধরা পড়েন জেক। দ্বিতীয় বলে মিড অনে যায় কোন্নর ম্যাথিসনের ক্যাচ। তৃতীয় বলে মাইকেল কুর্তিনের ক্যাচ যায় মিড-উইকেট। এবার ক্যাচ ধরেন ইশান সান্ধু। চতুর্থ বলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ওয়েড ম্যাকডুগল। ক্যাচ ধরেন পয়েন্টের ফিল্ডার আরমান সিধু। শেষ দুটি বলে বোল্ড করেন মর্গ্যান। পঞ্চম বলে আউট করেন রিলে এককার্লস্লেকে। শেষ বলে ব্রডি ফ্রেলানকে আউট করে দেন। তার ফলে চার উইকেটে ১৭৪ রান থেকে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সারফার্স। হেরে যায় চার রানে।

আর মর্গ্যানের বোলিং ফিগার ছিল -সাত ওভারে ১৬ রান দিয়ে সাত উইকেট। যিনি ম্যাচের শেষে সেই অবিশ্বাস্য কীর্তি নিয়ে কিছুটা মজা করেন মুদগিরাবা নেরাং অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবের বোলার। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য গোল্ড কোস্ট বুলেটিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মর্গ্যান জানান যে তার কীর্তি দেখে সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। 

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মর্গ্যানের কথায়, 'এটা দারুণ। ওভারের শুরুতে আম্পায়ার বলেন যে ম্যাচটা জেতার জন্য আমায় হ্যাটট্রিক করতে হবে বা অভাবনীয় কিছু করতে হবে। যখন সেটা হয়, তখন উনি (আম্পায়ার) শুধু আমার দিকে অপলকে তাকিয়ে থাকেন।’