ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

জানা গেল ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের অন্তরালে হাত কার

স্পোর্টস ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ১১:৪০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় ক্রিকেট দলটা সাম্প্রতিক সময়ে রূপ নিয়েছে ল্যাবরেটরিতে। যেখানে প্রতিটা ম্যাচেই ক্রিকেটারদের নিয়ে চালানো হয় পরীক্ষা নিরীক্ষা। কখনো দেখা যায় ফর্মে থাকা ক্রিকেটারকে বসিয়ে অফ ফর্মের ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে পরীক্ষা করাতে, কখনোবা ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখারও নজির মেলে।

ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা সব দলেই অতি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু বড় বড় টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার দুঃসাহস বাংলাদেশের মতো অন্য কোন দলের টিম ম্যানেজমেন্টের যে নেই সেটি বলতে কোনো বাধা নেই।

বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট ও বড় সিরিজ এলেই টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায় আসে ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা চালানোর কথা। যদিও বিষয়টি তাদের মাথায় থাকে না অপেক্ষাকৃত ছোট ও কম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের সময়।এর ব্যাত্যয় ঘটছে না চলতি বিশ্বকাপেও। এবারে ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। পরীক্ষা চালাচ্ছে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে।দলের ব্যাটিং অর্ডার দেখে যে কারও মনে হতে পারে পাড়ার কোনো টুর্নামেন্টে খেলা চলছে। সেখানে ইচ্ছামতো যে কেউ যখন তখন নেমে পড়ছেন মাঠে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপের পাঁচটি বড় অঘটন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের কথাই ধরা যাক। সেই ম্যাচে তিন নম্বরে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অপরদিকে নাজমুল হোসেন শান্ত নামেন চারে।পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনে নামতে দেখা যায় শান্তকে। সেদিন চার নম্বরে নামেন অধিনায়ক সাকিব নিজেই। আর মিরাজকে নামানো হয় পাঁচ নম্বরে।এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আবারও তিনে মিরাজ ও চারে নামেন শান্ত। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়কে নিজের জায়গা ছেড়ে খেলতে হয়েছে ৭ নম্বর পজিশনে।ঘনঘন এমন ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেও। বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে। ক্রিকেট বোদ্ধারা এর জন্য দায় দিচ্ছেন কোচ ও অধিনায়ককে।বাকিদের সুরে সুর মেলালেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। ব্যাটিং অর্ডারের এমন শাফলের দায় তিনিও দিলেন কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।

সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি সুনির্দিষ্ট ব্যাটিং পজিশন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কেন বলি বিশেষজ্ঞ? ঠিক না? ওপেনার বিশেষজ্ঞ, তিন নম্বরের বিশেষজ্ঞ এভাবে বলে। মিরাজ কিছু জায়গায় সফল হয়েছে। তবে আমদের ব্যাটিং অর্ডার যেহেতু লম্বা সেটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা থাকতে পারে (কোচ ও অধিনায়কের)।’

ফার্স্ট ডাউনে শান্তর সফলতার পরও তার ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তনের প্রসঙ্গে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘শান্ত কখনো বলেনি সে তিন, চার বাঁ পাঁচে খেলবে না। দলের প্রয়োজনে ওকে হয়ত খেলতে হতেও পারে। তবে যেটা প্রশ্ন ছিল, শান্ত গত এক-দেড় বছর ধরে তিনে ব্যাটিং করছে সব ফরম্যাটে। এটা হয়ত তার লে-আউট পজিশন। আমি বিস্মিত হই বা না হই, এটা অধিনায়ক-কোচের সিদ্ধান্ত। আমাদের এটাকেই সঠিক ধরে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ানডেতে এমন একটা অবস্থা থাকে মাঝেমধ্যে আপনাকে পরিবর্তন আনতে হয়। মিরাজ আর শান্তর যে ব্যাপারটা থাকে আমরা অনেক সময় বাঁহাতি- ডানহাতি চিন্তা করে.. কোচ-অধিনায়ক সেভাবে চিন্তা করছে। অনেক সময় এটা প্রয়োজনীয় না। আর হৃদয়ের ব্যাপারটা হচ্ছে আমরা যেহেতু সাকিবে পাঁচে খেলাচ্ছি, মুশফিককে ছয়ে খেলাচ্ছি, হৃদয় সাতে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক।’