ঢাকা, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

তিন সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ব রেকর্ড

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০৭, ২০২৩, ০৮:৩৯ রাত  

ছবি সংগৃহীত

১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে রান বন্যায় বিশ্ব রেকর্ডের পসরা সাজিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলংকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রানের পাহাড় গড়েছে প্রোটিয়ারা। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কুইন্টন ডি কক-রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও আইডেন মার্করাম সেঞ্চুরি করেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক ইনংসে  এই প্রথম তিন ব্যাটার সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড হলো। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থবারের মত এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি দেখলো বিশ্ব ক্রিকেট। ৪৯ বলে বিশ্বকাপের ইনিংসে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়েন মার্করাম।  

নয়া দিল্লিতে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার সাথে ইনিংস শুরু করেন ডি কক। বাভুমা ৮ রানে থামলে দ্বিতীয় উইকেটে ডুসেনের সাথে ১৭৪ বলে ২০৪ রান যোগ করেন ডি কক। শ্রীলংকার বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই জুটিতেই ৮৩ বলে ওয়াডেতে ১৮তম সেঞ্চুরি করেন ডি কক। সেঞ্চুরি করার পরের বলেই আউট হন ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৪ বলে ১০০ রান করা ডি কক।

ডি কক ফেরার পর ১০৩ বলে ওয়ানডেতে পঞ্চম শতক পূর্ণ করেন ডুসেন। শেষ পর্যন্ত ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১০ বলে ১০৮ রান করেন তিনি।ডি কক ও ডুসেন ফেরার পর শ্রীলংকার বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন মার্করাম। মাত্র ৪৯ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন তিনি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম। আগেরটি ছিলো আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়ানের। ২০১১ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ও’ব্রায়ান।

বিশ্ব মঞ্চে বিশ্ব রেকর্ড গড়া ইনিংসে ১০৬ রান করেন মার্করাম। তার ৫৪ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। এছাড়া হেনরিচ ক্লাসেনের ২০ বলে ৩২, ডেভিড মিলারের ২১ বলে অপরাজিত ৩৯ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে বিশ্বকাপ ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ  ৪২৮ রান সংগ্রহ পায়  দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি তিনবার ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ আটবার ইনিংসে ৪শ রানের রেকর্ডের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকা।

শ্রীলংকার পক্ষে দিলশান মদুশঙ্কা ৮৬ রানে ২ উইকেট নেন। ব্যয়বহুল ছিলেন কাসুন রাজিথা ও মাথিশা পাথিরানা। রাজিথা ৯০ রানে ও পাথিরানা ৯৫ রানে ১টি করে উইকেট নেন।