ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি হতে চান নাদাল
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ০১:০৭ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
মাদ্রিদ, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ : কোন একদিন রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের সভাপতির স্থানে নিজেকে দেখতে চান টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। তবে একইসাথে স্বীকার করেছেন ফ্লোরেনতিনো পেরেজের স্থান নিতে হলে যে ধরনের যোগ্যতার মাপকাঠি রয়েছে তা হয়তোবা তার পক্ষে পূরণ সম্ভব নয়।
২২ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী স্প্যানিশ এই তারকা মাদ্রিদের একনিষ্ঠ ভক্ত। একইসাথে তিনি ক্লাবের অনারারী মেম্বারও। এ বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলার পর কোমরের ইনজুরির কারনে এখনো পর্যন্ত কোর্টে নামতে পারেননি। সে কারনে আগামী বছর টেনিসকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিতও দিয়ে ফেলেছেন।
৭৬ বছর বয়সী পেরেজ ২০০৯ সাল থেকে মাদ্রিদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে আসীন ছিলেন। এক সাক্ষাতকারে নাদাল বলেছেন, ‘আমি কি রিয়ালের সভাপতি হতে পারবো, মনে হয় পারবো। এই পদটির প্রতি আমার আগ্রহ আছে। কিন্তু এখানে অনেক বিষয় জড়িত। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই। কারন আমাদের কাছে সম্ভাব্য সেরা সভাপতি পেরেজ রয়েছেন।
আজ আমি যা চিন্তা করছি কাল হয়তো সেটা চিন্তা নাও করতে পারি। জীবনে অনেক ধরনের চড়াই-উৎরাই সামনে আসে। এই ধরনের পদে যেতে হলে সব ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে। আমি সবসময়ই বাস্তববাদী। আমি নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানি। আমি জানি এই পদের জন্য আদৌ আমি যোগ্য কিনা। সময়ই সবকিছু বলে দিবে। আমি পেরেজকেও কখনো এ ব্যপারে জিজ্ঞেস করিনি। আমার মনে হয় গণমাধ্যম বিষয়টি সামনে নিয়ে যাচ্ছে। সভাপতি হবার জন্য সব ধরনের শর্ত মানতে পারবো বলে মনে হয়না।’মাদ্রিদের সভাপতি হওয়ার জন্য শর্তে বেশকিছু জটিল প্রক্রিয়ার কথা বলা আছে। যেখানে নির্দিষ্ট পদটির জন্য একজন ব্যক্তিকে ক্লাবটির ২০ বছরের সদস্য হওয়া লাগবে। এছাড়া ক্লাবের বার্ষিক বাজেটের ১৫ শতাংশ ব্যয়ের সক্ষমতা এবং স্প্যানিশ জাতীয়তাও প্রয়োজন।
নাদাল ২০১১ সালে ক্লাবের অনারারী সদস্যপদ পেয়েছেন। ২০০৯ সালে বিতর্কিত সভাপতি রামোন কালডেরোনের কাছ থেকে পুনরায় সভাপতি পদ পাবার পর ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২১ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন পেরেজ।
নতুন মৌসুমে পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে মাদ্রিদ লা লিগা টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। নাদাল বলেন, ‘মাদ্রিদের মৌসুমের শুরুটা ভাল হয়েছে। যদিও এখনই কোন মন্তব্য করার সময় আসেনি। তবে দলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনজুরি রয়েছে যাদের মধ্যে থিবো কোর্তোয়া, এডার মিলিটাও, ভিনিসিয়াস জুনিয়র অন্যতম। জুড বেলিংহামের মত খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত ছিল দুর্দান্ত।’
গত তিন মৌসুম ধরে পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েও সফল হতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ভবিষ্যতে এমবাপ্পেকে দলে দেখতে চান কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে নাদাল বলেছেন, দলে আরো একজন ফরোয়ার্ড আসার জরুরী। অবশ্যই আমি কিলিয়ানের জন্য অপেক্ষায় আছি। সে দলে আসলে আমি খুশী হবো। মাদ্রিদের সমর্থকরাও তাকে দলে দেখতে চায়। এ ব্যপারে এমবাপ্পের আপত্তি থাকার কথা না।