গাড়ি পোড়ালে অর্থ ও দলে প্রমোশন, বিএনপির এ কেমন রাজনীতি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ১১:৫৬ দুপুর
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির এটি কি জঘন্য ন্যক্কারজনক ঘৃণ্য রাজনীতি যে, গাড়িতে বা কোনো যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা ‘পেমেন্ট’ দেওয়া হয়, আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এবং এখানের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়। এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ! জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও তো এ রকম কাজ করে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত সাংবাদিক স্বপন কুমার কুন্ডু রচিত ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। মন্ত্রী গ্রন্থটির লেখক ও প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান এবং সাংবাদিক ও আগ্রহীদের জন্য বইটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে (বিএনপি) এ দেশে রাজনৈতিক দল বলা হয় এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে, এখন অবশ্য বলে না। তবে এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়। অগ্নিসন্ত্রাসী যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপির নেতা, একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছেন সেখানে। অর্থাৎ এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট জবানবন্দিগুলো থেকে যে কারা এগুলো করছে। রিজভী সাহেব অন্তরালে বসে তাদের দলের পক্ষ থেকে এ নির্দেশগুলো দিচ্ছেন।
সরকার বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচন করার জন্য কোনো নেতাদের চাপ দিচ্ছে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরও অনেক নেতা চলে আসতো। আমরা কাউকে চাপ দিচ্ছি না। বিএনপির অপরাজনীতির সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করে, তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহযাত্রী হতে চায় না বিধায় বা এই জ্বালাও-পোড়াও বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে সেজন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছে বলে আমি মনে করি।