ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সরেছে পুলিশের ব্যারিকেড

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৫:৫০ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের দুই পাশের কাটাতারের ব্যারিকেড ও পাহারা সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। তবে কার্যালয়ের কলাসিবল গেইট এখনো বাইর থেকে তালাবন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিএনপি কার্যালয় লাগোয়া ভিক্টোরিয়া হোটেলের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে।

গত ২৮ অক্টোবর রাত থেকে বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্ত্র হাতে পাহারায় ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার গভীর রাতে কাঁটাতারের ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে মতিঝিল মডেল থানার কাছে রাখা হয়। আর অফিসের সামনে থেকে পুলিশ পাহারা সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে নেই।

বিএনপি কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, “বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। কেন আসে না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।

“আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে, একইভাবে এখনও সেখানে পুলিশ আছে।”

তবে নয়াপল্টনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘উপরের নির্দেশে’ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পাহারা রাখা হচ্ছে না। তবে কাছাকাছি আগের মতই পুলিশ থাকবে। 
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সরেছে পুলিশের ব্যারিকেড

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে সেখানে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা শুরু হয়।

পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কার্যালয়ের সামনে স্টিকার দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। ওইদিন ১১টি আলামত সংগ্রহ করে কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।

দুইদিন পর কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়েও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সেখানে কোনো নেতা-কর্মীকেও আসতে দেয়া হয়নি।

গত ২৮ অক্টোবর সংঘাতের পর বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ‘কঠোর’ কর্মসূচিতে যায়।

২৮ অক্টোবরের ঘটনার পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা, তৃতীয় দফা ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও চতুর্থ দফায় ১২ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়, যা মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হয়।
সবশেষ বুধবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। যা শেষ হবে শুক্রবার ভোরে।