ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

উৎকণ্ঠার ২৮ অক্টোবর, কী ঘটতে পারে সেদিন

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৩, ১১:৩৪ রাত  

আগামী দ্বাদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনার পরদ ততই বাড়ছে। 

ইতিমধ্যে বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।একইদিন ২৮অক্টোবর সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ। তারা বিএনপিকে প্রতিহত করতে ঢাকা জুড়ে নেতা কর্মীদের পাহারা দিতে বলেছেন। 

২৮ অক্টোবর এই মহাসমাবেশ করার মধ্য দিয়ে বিএনপির বিরতিহীন কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তারা বলছে  এই মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

২৮ অক্টোবর বিএনপি'র দেওয়া ডেড লাইন কে টার্গেট করে, তিন দিন আগে থেকেই রাজধানীতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ- বিএনপি'র কর্মসূচি প্রতিহত করতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে এবং নির্দেশনা দিয়েছে নেতা কর্মীদের মাঠে সক্রিয় থাকার।

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে এই মুহূর্তে ‘সর্বোচ্চ’ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকদের অনেকে তাদের সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে, ওই মহাসমাবেশকে বিএনপির ‘মরণ কামড়ের’ শুরু হিসেবে দেখছেন। এ জন্য বিএনপির এই সমাবেশে চাপ প্রয়োগ করে জমায়েত ছোট করা, এমনকি  সমাবেশ  হতে না দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন দল।

অপরদিকে এই সমাবেশ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তাহলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দেয়, ডিএমপি তা কঠোর হস্তে দমন করবে।

এর আগে  মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে তার অফিসে দেখা করেন। তিনি মন্ত্রীর নিকট থেকে জানতে চান, ২৮ অক্টোবর রাস্তা ঘাট বন্ধ করা হবে কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ জনসভা করে তাহলে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হবে না। এটি ছিল দুপুরের ঘটনা। পরবর্তীতে
রাত ৮টার পর মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ২৮ অক্টোবর বিএনপির জনসভা এবং রাস্তাঘাট খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো আলোচনা করেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং মার্কিন দূতাবাসের এই পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বিস্মিত হয়েছেন।

বর্তমানে ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য মহামাবেশকে ঘিরে তুমুল জল্পনা-কল্পনা চলছে। জল্পনা-কল্পনার একটি দিক হলো, বিএনপি এটিকে তাদের ফাইনাল শো অব স্ট্রেংন্থ, অর্থাৎ জনসমর্থনের চূড়ান্ত মহড়া দেখাতে চায়। এছাড়া  ঐ দিন জনসভার মঞ্চে তাদের  গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দল ইত্যাদির নেতাদেরকেও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দিনটিকে নিয়ে সমগ্র দেশে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।