ভার্চুয়াল যোগাযোগে এগিয়ে আ.লীগ- বিএনপি, পিছিয়ে জামায়াত
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩, ১২:১৩ দুপুর
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে গণমানুষের সঙ্গে যোগাযোগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগাচ্ছে। নিজেদের কার্যক্রম সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাংগঠনিক ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে তারা ব্যবহার করছে। তবে মূল ধারার কয়েকটি দলের মধ্যেই এই চর্চা বেশি হচ্ছে। ভার্চুয়ালি এসব গণযোগাযোগে সবার থেকে এগিয়ে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তবে এদিক থেকে পিছিয়ে আছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কোনঠাসা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সর্বশেষ ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে অ্যালেক্সা র্যাংকিংয়ে আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে ৭৬৮তম, জামায়াতের ১১ হাজার ৬৯৯তম এবং বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইট কোনো র্যাংকিংয়ে নেই।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে নানা ধরনের বার্তা, এবং হুশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দল গুলোর নেতকর্মীরা ।
আওয়ামী লীগ:
দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগের সক্রিয় কার্যক্রম ইন্টারনেটে চোখে পড়ে। albd.org ওয়েবসাইটে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দলীয় কার্যক্রমের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে৷ দলটির পরিচিতি ও ইতিহাসের পাশাপাশি দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রমের নিয়মিত সংবাদ ওয়েবসাইটটিতে আপডেট পাওয়া যাচ্ছে।
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দলটি রয়েছে সব থেকে এগিয়ে৷ ৩৩ লাখের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী দলীয় পেজটি অনুসরণ করছে। দলটির এক সপ্তাহের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পেজটিতে গত ১ সপ্তাহে ৩০০ টির ও বেশি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে এবং তা শেয়ার ও লাইকে যুক্ত হয়েছেন হাজার হাজার ব্যবহারকারী। এছাড়া টুইটার ও ইউটিউবেও দলটির কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুশিয়ারি সহ দলীয় নানা কর্মসূচির একাধিক র্বাতা প্রকাশ করা হয়েছে আওয়ামী ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজটি থেকে ।
বিএনপি:
পাশাপাশি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির যোগাযোগ মাধ্যেমে তাদের উপস্থিতি বেশ সক্রিয়। ফেসবুক পেজে অনুসরণকারী ২২ লাখের বেশি। পাশাপাশি গত এক সপ্তাহের ফেসবুক পেজের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পেজটিতে বিগত ১ সপ্তাহে ১৭৩ টির ও বেশি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। লাইক দিয়েছেন লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। পেজটিতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নানা সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ করা হয়৷ এছাড়া প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হচ্ছে ভিডিও। বর্তমানে তাদের উপস্থিতি বেশ সরব।
জামায়াত:
ভার্চুয়াল যোগাযোগে বিএনপি আওয়ামী লিগ থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে আছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (jamaat-e-islami.org) সাংগঠনিক কার্যক্রম, তথ্যকোষ, সংবাদ, বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয়ভিত্তিক দেয়া দলীয় বিবৃতি নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটটি বাংলা-ইংরেজি দুটি ভাষাতেই সক্রিয়৷ এছাড়া আরবী ভাষারও একটি অপশন আছে ওয়েবসাইটে৷ নিয়মিত খবরাখবর ছাড়াও ভিডিও এবং সাক্ষাৎকারসহ নানা অপশন রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে৷ নিজেদের আদর্শ প্রচারের জন্য জামায়াতের এই সাইটটি৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত হলেও তুলনামুলক কম সক্রিয় জামায়াত। দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজটি ২০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী অনুসরণ করছে। দলটির অফিসিয়াল পেজটিতে ৭ দিনে প্রায় ৫০ টি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। টুইটার ও ইউটিউবেও সক্রিয় জামায়াত।
এছাড়া এসব রাজনৈতিক দলের বাইরেও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু এইসবে নেতাদের কিছু সচিত্র এবং ভিডিও প্রতিবেদন ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই৷