ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১

মন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ‘সম্মত’ শিক্ষা ক্যাডাররা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৩, ১১:০০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা। বৈঠকে মন্ত্রী দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ‘সম্মত’ হয়েছেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তবে সমিতির নেতারা বৈঠক করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

শনিবার (১৪) রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা এসব কথা জানান। রাজধানীর হেয়ার রোডে রাত সাড়ে ৮টায় এ বৈঠক শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ব্রিফ করে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সমিতির নেতারা।

আরও পড়ুনঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে আগামীকাল কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা

বিসিএস সাধারণ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন—আমাদের দাবিগুলো খুবই বাস্তবায়নযোগ্য। তবে একটু সময় লাগবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচনের আগে হয়তো সবগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আমরা আজকের আলোচনায় খুবই স্যাটিসফাইড (সন্তুষ্ট)। আশা করছি, আমাদের দাবিগুলো পূরণ হবে। আজকের সবগুলো বিষয় আমরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।

ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সবসময়ই আমরা শিক্ষকদের দাবি পূরণে সচেষ্ট। শিক্ষকরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।

সব সমস্যার সমাধান একদিনে করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। সামনে নির্বাচন, এরপর জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারে আনলে সবগুলো দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। তাছাড়া নির্বাচনের আগে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে সুযোগগুলো রয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি কর্মসূচি করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তরা।

দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা আগাশী ১৭ ও ১৯ অক্টোবর ফের দুদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা দেন। এর মধ্যে শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মসূচি থেকে সরে এলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।