মানবতাবিরোধী অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির জামিন আবেদন খারিজ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০১:১৮ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ ও আব্দুস সাত্তারের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করে। রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। পাশাপাশি জামিন আবেদনও করেন। আজ শুনানি নিয়ে জামিন আবেদন নাকচ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৫১তম রায়। কারাদ-প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
আরো পড়ুনঃ স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২৩’র খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
২০১৫ সালের ১৯ মে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। এমএ হান্নান ছাড়াও মামলাটিতে জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মামলাটিতে মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় আটজনে।২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা যান। বাকি পাঁচ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক রয়েছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।