ঢাকা, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

গুলি করে জনতার আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না: জামায়াত

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ১২:৫৫ দুপুর  

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

গণগ্রেপ্তার করে ও গুলি করে জনতার আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন এবং আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুহীন হয়ে এখন সেলফি তুলে অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুরায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি পূর্ব রামপুরা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।

সমাবেশে ড. মুহাম্মদ  রেজাউল করিম বলেন, অনতিবিলম্বে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। নয়তো জনগণের আন্দোলনে আপনাদের শেষ রক্ষা হবে না। আওয়ামী লীগ চলমান গণআন্দোলন নির্মমভাবে দমনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে। সরকার বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্যই গুম, খুন ও অপহরণ অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে জনগণের বুকে গুলি চালাবেন না। সেলফি তুলে সরকারের শেষ রক্ষাও হবে না। তিনি সরকারকে অবিলম্বে গুম বন্ধ করে সবাইকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় তাদেরকে একদিন জনতার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

রেজাউল করিম বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম দমন ও পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। এজন্য তারা জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। তারা কথিত বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে শীর্ষ নেতাদের একের পর হত্যার পরও তাদের জিজ্ঞাসা বন্ধ হয়নি বরং তারা নতুন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।