সকালে খালিপেটে খেজুর খেলে যে উপকার পাবেন
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ০৮:৩৯ রাত
রোজ সকালে দু-তিনটে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। অনেকেই সারা বছরই এই অভ্যাস চালিয়ে যান। কিন্তু জানেন কি এটি খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে।
যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন বা কোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত খেজুর খান। আয়ুর্বেদ বলছে, পেটের এই ধরনের অসুখের জন্য খেজুর মহৌষধির মতো কাজ করে।
কিন্তু এর বাইরেও শরীরের জন্য কেমন উপকারী এটি? খেজুরের এমনই কিছু গুণাগুণের কথা তুলে ধরা হয়েছেন ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে।
খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোসের মতো প্রকৃতিক সুগার, যা রক্তে মেশার সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির জোগান এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ক্লান্তি দূর হতে সময়ই লাগে না। সারা বছর খেজুর খেলে এই সুবিধা পাওয়া যায়। তাই ক্লান্ত লাগলে, তখনই একটি-দুটি খেজুর খেয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!
খেজুর ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
নানা কারণে যাদের ওজন কমে যেতে শুরু করেছে, তারা খেজুর খাওয়া শুরু করুন। কারণ এই ফলটিতে উপস্থিত ক্যালোরি শরীরে ভাঙন রোধ করে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পটাশিয়াম, যা নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধি এবং মনযোগ বাড়াতেও এই ফলটি সাহায্য করে।
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে খুব শক্তপোক্ত করে দেয়। যারা বেশি বয়সে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে খেজুর দারুণ ভাবে কাজ করে। ফলে তাদের সারা বছর নিয়ম করে খেজুর খাওয়া উচিত।
খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানও রযেছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনো সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। এই ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধি। তাই তো অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।