ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কোনো নির্বাচনই বির্তকের ঊর্ধ্বে যেতে পারেনি: সিইসি

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৮, ২০২৪, ০৮:০৮ রাত  

ছবি সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,কোনো নির্বাচনই বির্তকের ঊর্ধ্বে যেতে পারেনি।এ নির্বাচন নিয়ে যে আমরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি এ নির্বাচনও কিন্তু বির্তকের উর্ধে যেতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায়’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সিইসি।

সিইসি, সরকারের সহায়তা ছাড়া এতো বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব হয় না।  অপবাদ,  বদনাম দু'টোই নিতে হবে।উদ্বেগ সংকট থেকে জাতি ওঠে এসেছে। এটা স্থায়ী সমাধান নয়।

তিনি বলেন,রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণ হয়েছে তা নয়। একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন ওঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ়তার সাথে ছিলেম যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো।সাড়ে তিনটায় যদি শেষ ব্রিফ করতাম তিনটা  তথ্য নিয়ে তাহলে বিভ্রান্তি হতো না। চ্যালেঞ্জ করলে আমরা তা দেখাতে পারি। যারা সাদাকে কাল দেখেন, তারা কালাই দেখবেন।

তিনি বলেন, এবার প্রথমবারের মতো প্রতি আসনে একটি করে গঠিত নির্বাচনি তদন্ত কমিটি বড় ছোট বিবেচনার ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরাও ভালো কাজ করেছেন।
ইসি সচিব অত্যন্ত দক্ষ একজন কর্মকর্তা।

কোনো বড় দপ্তরে হয়তো উনি যাবে এমন একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যেদিন আমরা শপথ নিয়েছিলাম সেদিন থেকেই এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা আসন বিন্যাস, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সংলাপ ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সফল ভাবে করতে পেরেছে ইসি সচিবালয়।

তিনি বলেন,দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে ও সরকারসহ সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সকলেই সহয়াতা করেছে।সরকার একটি বিরাট শক্তি তাদের সহযোগিতা যদি না পেলে সুষ্ঠুভাবে করতে পারতাম না। সব দল অংশগ্রণ করলে আরো গ্রহণযোগ্য হতো।

তিনি বলেন,টকশোতে যখন দায় চাপানো হয় তখন খারাপই লাগে। অনেক সময় তারা না জেনে, বা আংশিত জেনে মতামত দেন। তারা পণ্ডিত ব্যক্তি। অল্প জেসেই পুরোটা লিখতে পারেনন। তাদের পুনোটা জানার দরকার না। কারা নির্বাচনে আসবে তাদের আসার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা আমাদের কাজকর্মের জন্য অত্যন্ত সন্তুষ্ট।

ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা ভালো নির্বাচনের একটা করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়তো আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম।

আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছেন। না হলে একসুরে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না।
আশাকরি মান সম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারবো।

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি।
যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সে স্ট্যাননডর্ড থেকে নামতে পারবে না। আমরা দেখিয়ে দেবো কিভাবে এই কমিশন করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরনীয় হয়ে থাকবে।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশন সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।