ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শীত কী আরও বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৬, ২০২৪, ০৯:৪৬ সকাল  

ফাইল ছবি

বিগত কয়েকদিনে দেশজুড়ে শীতের তীব্রতার দেখা মিলেছে। তবে আজ সোমবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি কোনো কোনো অঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলেছে। 

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে ধীরে ধীরে কমতে পারে শীতের তীব্রতা। তবে সারা দেশে চলমান কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি কেটে সূর্যের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ মো. বজলুর রশিদ বলেন,শৈত্যপ্রবাহ অনেকটাই কমেছে। আগামীকাল তা আরো কমতে পারে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল সূর্যের দেখা মিলেছে। আজ পরিস্থিতির আরেকটু উন্নতি হতে পারে, কমবে শীতের তীব্রতা। তবে ঢাকায় আজও দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে গেছে। আজ তা কোনো কোনো অঞ্চলে কমে আসতে পারে।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে, ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮.৮ ডিগ্রি এবং রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পরিস্থিতি ছিল আরো কয়েকটি অঞ্চলে। পাবনার ঈশ্বরদীতে এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রংপুর ও নওগাঁর বদলগাছীতে ১০.৩, বরিশালে ১০.৫ ও যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামগ্রিকভাবে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৫ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনো গড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ডিগ্রি কম রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।