ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করল ইরান, উত্তেজনা তুঙ্গে

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ০২, ২০২৪, ১০:০৯ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ইস্যুতে লোহিত সাগরে উত্তেজনার মধ্যেই সেখানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইরান। সোমবার ইরানের আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে বলে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ আলবোর্জের মিশনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি তাসনিম নিউজ এজেন্সি। তবে ইরানি যুদ্ধজাহাজগুলো ২০০৯ সাল থেকে পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক রুট লোহিত সাগরে জলদস্যুদের প্রতিরোধ এবং অন্যান্য কাজ সম্পাদনের জন্য নিয়োজিত রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির এই আধা সরকারি বার্তা সংস্থা। 

যুদ্ধজাহাজটির সাম্প্রতিক ছবি দেখে মনে হয়, আলবোর্জ বেশ আধুনিকীকরণের মধ্য দিয়ে গেছে। এতে এখন ইরানি ছয় ব্যারেল ১ দশমিক ২ ইঞ্চির কামান্দ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট আর্টিলারি সিস্টেম রয়েছে। শত্রু শনাক্তকরণ এবং আঘাতের জন্য একটি অপ্টো-ইলেকট্রনিক সিস্টেমও রয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। 

তাদের এই হামলায় বিশ্বের অনেক বড় শিপিং কোম্পানি সুয়েজ খাল দিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপের আশপাশের দীর্ঘ এবং অত্যধিক ব্যয়বহুল রুটে জাহাজ পরিচালনা করছে। বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্যসামগ্রী সুয়েজ খালের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়। 

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, আলভান্দ ধাঁচের ওই ডেস্ট্রয়ার ইরানের নৌবাহিনীর ৩৪তম নৌবহরের অংশ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এডেন উপসাগর, ভারত মহাসাগরের উত্তরে এবং বাব এল-মান্দাব প্রণালিতে টহল দিয়েছিল এই যুদ্ধজাহাজ। 

মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহর বলেছে, তারা ইরানি নৌবাহিনীর পক্ষে কথা বলতে পারে না। একই সঙ্গে ইরানি যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি নিয়েও অসমর্থিত প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারে না মার্কিন নৌবাহিনী। 

এর আগে, গত শনি ও রোববার লোহিত সাগরে জাহাজ ও সামুদ্রিক পথে পণ্য পরিবহন খাতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান মারেস্কের কনটেনারবাহী জাহাজে হামলা চালায় হুতি বিদ্রোহীরা। ওই জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ছোট নৌকায় চড়ে উঠে পড়ার চেষ্টা করে তারা। এ হামলার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য লোহিত সাগরে তাদের আর কোনো জাহাজ চলাচল করবে না বলে ঘোষণা দেয়। 

গত ২ ডিসেম্বর ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান শাহরাম ইরানির বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, লোহিত সাগরে মিশন পরিচালনা করছে আলবোর্জ। পরে ১৪ ডিসেম্বর ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি লোহিত সাগরের বিষয়ে বলেন, ‘যেসব অঞ্চলে আমাদের আধিপত্য আছে, সেসব অঞ্চলে অন্য কেউ অগ্রসর হতে পারবে না।’