ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধ
গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩, ০২:৩৪ দুপুর
ছবি সংগৃহীত
অবশেষে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে কাতারের মধ্যস্থতায় গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এ যুদ্ধবিরতি।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে যুদ্ধবিরতি শুরুর সময় জানিয়েছিল কাতার।
দোহায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। ১৩ জন জিম্মি এদিন সন্ধ্যায় মুক্তি পাবেন। এই সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মধ্যে যারা একই পরিবারের তাদের একত্রিত করা হবে।
এ ছাড়া চার দিনের মধ্যে ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী প্রতিদিন নতুন করে আরও বেসামরিক জিম্মিকে যুক্ত করা হবে। তবে নিরাপত্তার কারণে গাজা থেকে বন্দিদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন রুমের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে সেখানে পৌঁছান তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব। জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্তির বিষয়টিতে যুক্ত থাকবে রেডক্রস ও যুদ্ধের অন্য পক্ষগুলো।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতি শুরুর আগ মুহূর্তে, একটি শরণার্থী শিবির ও জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় সরবরাহের জন্য ১ হাজার ৩০০ টন খাদ্যসহ ১০০টির বেশি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপর এসব ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যপ্রাচ্যের মুখপাত্র আবির ইতেফা বলেছেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধের একটি এগিয়ে যাওয়ার ধাপ। তবে শুধুমাত্র সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই গাজায় মানবিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মানুষের প্রতিদিন খাবারের প্রয়োজন, রুটি দরকার। চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং চার দিনের সাহায্য এই চাহিদার সাগরে কিছুই নয়।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
হামাসের এই হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত দেড় মাসে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ হাজার ৫৩২ জনে। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।