ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাতীয় নির্বাচন ২০২৪

সাকিবকে নিয়ে যা বলছেন মাগুরার আ.লীগ নেতারা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৮:১৭ রাত  

ছবি সংগৃহীত

মাগুরার রাজনীতিতে ফের আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শনিবার তার পক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার পরই শুরু হয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাগুরার আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, স্থানীয় রাজনীতিতে সাকিব জড়িত না থাকলেও মনোনয়নের বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

মাগুরায় সাকিবের বাড়ি শহরের সাহাপাড়ায়। এটি মাগুরা-১ আসনের মধ্যে পড়েছে। সদর উপজেলার এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। এই আসনের আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বেশির ভাগই বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী।

সাকিবের বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, সাকিব যে মনোনয়ন ফরম কিনেছে এটা আমি, আমার সভাপতি বা দলের কেউ জানে বলে আমার মনে হয় না। আমি ৩৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সময়ে আমি কখনো সাকিব বা তার পরিবারের কাউকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে দেখিনি। তাদের এই দলের প্রতি কোনো কন্ট্রিবিউশন (অবদান) আছে বলেও মনে হয় না।

একই সুরে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমাউনূর রশীদ মুহিত বলেন, আমার মনে হয় সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

যদিও শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া সাকিবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, সাকিবের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন তারকা প্রার্থী হলে তো ভালোই হবে। সবাই তো আর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকেন না। নেত্রী যদি চান, এখানে তো কোনো সমস্যা দেখি না। কারণ, এখানে প্রার্থী পরিবর্তন হলে ভোটের ফল আওয়ামী লীগের পক্ষে যাবে।

সাকিবের মনোনয়ন ফরম কেনার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আবদুল সত্তাহ বলেন, মনোনয়ন যে কেউ কিনতেই পারেন। কিন্তু আমরা মনে করি, দলের জন্য যারা দীর্ঘদিন ধরে নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন, ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যাদের অবস্থান, এমন মানুষকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত। সাকিব আল হাসান কখনো জনগণের সঙ্গে মাঠে কাজ করেছেন বা কোনো দলের রাজনীতি করেছেন বলে তো শুনিনি। নেত্রী ভালো বুঝবেন কাকে মনোনয়ন দিলে ভালো হয়, তার কাছে সব তথ্যই আছে।