ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলিঃ কখন, কোন দিক দিয়ে যাবে

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০১:৪৭ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আজ দুপুরের দিকেই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। সন্ধ্যা নাগাদ এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছে দিয়ে মোংলা ও পায়রা উপকূল ছাড়াবে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টার দিকে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আরও উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রান্ত দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে এবং কেন

শুক্রবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল এটি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দেশের উপকূলীয় এলাকা, এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।

তাই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।