জাতীয় নির্বাচন ২০২৪
রাশিয়াসহ ৫০ দেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানাবে ইসি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১১:৪৫ রাত
ছবি সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাশিয়াসহ পৃথিবীর ৫০টির মতো দেশকে আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির আমন্ত্রণের তালিকায় রাশিয়া ছাড়াও থাকছে ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান এবং আফগানিস্তানের মতো দেশগুলো।
রোববার (১২ নভেম্বর) ইসি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দূতাবাসগুলোতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আবেদন করেছে।
এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্থা, যেগুলোতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সদস্য, তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এক্ষেত্রে ৫০টির মতো দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান এবং আফগানিস্তান।
অন্যদিকে সংস্থাগুলোর মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইলেকশন বডি, ফেমবোসা, সার্ক, অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ইলেকশন অথরিটির চেয়ারম্যান, মহাসচিবদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত বৈঠক হবে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমাদের যারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে এমন নির্বাচনী সংস্থা ও দেশগুলোকে আমরা আমন্ত্রণ জানাবো।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আফ্রিকান ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্স থেকে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও অস্ট্রেলিয়ান একজন নাগরিক আবেদন করেছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ বিষয়ে বলেন, যারা আবেদন করছেন, তাদেরটাও আমরা বাছাই করবো। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করা হবে। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে সবাই ভোটের তারিখ জানতে চাচ্ছেন। কেননা, তারা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেবেন। তবে আমরা সেটা এখনই বলতে পারছি না। তফসিল হয়ে গেলেই আবেদন বাড়তে পারে।
চলতি সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্থার ৩৮ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসের ১৩১ জন কূটনৈতিক-কর্মকর্তা ভোট পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।