ঢাকা, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

রেমিট্যান্সের ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৯, ২০২৩, ০৩:৩৭ দুপুর  

রেমিট্যান্সে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ মার্কিন মুদ্রাটির দর কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দেয়া যাবে না। বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

তীব্র ডলার সংকটে ভুগছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যে কারণে আগের দেনা শোধ করতে পারছে না অনেকে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে রেমিট্যান্সে ডলারের দর ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এই অবস্থায় প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির ঊর্ধ্বমুখী মূল্য নিয়ন্ত্রণে এই উদ্যোগ নিলো এবিবি ও বাফেদা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পণ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। এতে অধিক হারে ডলার খরচ হয়। স্বাভাবিকভাবেই মুদ্রাটির সংকট দেখা যায়। গত মার্চের পর দেশে তা প্রকট আকার ধারণ করে।

এই সংকট মোকাবিলায় প্রথমে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট কমেনি। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এবিবি ও বাফেদাকে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই থেকে ডলারের মূল্য নির্ধারণের করে আসছে তারা।

সবশেষ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের দর ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে এবিবি ও বাফেদা। এর সঙ্গে সরকারি প্রণোদনা রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে ইনসেন্টিভ দিতে পারে। সবমিলিয়ে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম দাঁড়ায় ১১৬ টাকা। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এ দরে তা পাচ্ছে না। ফলে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় গ্রিনব্যাক কিনছে তারা।

এমন পরিস্থিতিতে এই নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলো এবিবি ও বাফেদা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন জানায়, প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দেয়া যাবে না। তবে বিক্রির রেট অপরিবর্তিত থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১১ টাকায়। তবে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে গ্রাহকদের নগদ ১ ডলার কিনতে হচ্ছে ১২৩ টাকা ১২৪ টাকায়।