ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর , কারাগারে পাঠানোর আদেশ

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩, ১০:৩০ রাত  

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এই আদেশ দেন।

এর আগে, রোববার সকালে রাজধানীর গুলশান-২-এর বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে ডিবির মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাতে ডিবির গাড়িতে করে  মির্জা ফখরুলকে আদালতে আনা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ইশরাকের ছোট ভাইসহ ৬ জন রিমান্ডে

আটক দেখানোর পর আজ রাতেই মির্জা ফখরুলকে আদালতে নেওয়া হয়। রাত ৭টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুপুর ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানা-পুলিশ রমনা থানায় মামলা করে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের সদস্যরা গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ (চিত্র) ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যান। এর ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।

পরে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন

গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরের দিকে কাকরাইলে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।