ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১

চারদিনের সফরে মঙ্গলবার ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩, ০৯:৪৭ রাত  

ছবি সংগৃহীত

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আগামী বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের প্রথম বৈঠক শুরু হতে যাচ্ছে। ওই ফোরামে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ব্রাসেলস সফরে যাচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইয়েনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফরে যাবেন। তিনি ব্রাসেলসে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের বৈঠকে অংশ নেবেন। ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ইইউ ৭ পর্যবেক্ষক পাঠাবে নিজ খরচে, থাকা-খাওয়া জোগাবে সরকার

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে গ্লোবাল গেটওয়ের আওতায় ৮৯ প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। সেই প্রকল্প থেকে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক থেকে সৌরবিদ্যুৎ এবং বায়ুবিদ্যুতে বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ইউরো ঋণ এবং সাড়ে ৪ কোটি ইউরো মঞ্জুরি হিসেবে দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে এ বিষয়ে চুক্তি সই হবে।

নাম না প্রকাশ শর্তে ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ঋণ ও মঞ্জুরি হিসেবে প্রায় সাড়ে ৩৯ কোটি ইউরো পাওয়ার চুক্তির মাধ্যমে গ্লোবাল গেটওয়ে তহবিলে যুক্ত হওয়ার বিষয় রয়েছে। ফোরামের ফাঁকে ইইউর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক করার সুযোগ থাকছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইইউ কমিশনে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যে রেজ্যুলেশন পাস করা হয়েছে, সে বিষয়ে ঢাকার কিছু আপত্তি রয়েছে; সেগুলো তুলে ধরার সুযোগ থাকছে।

এ কূটনীতিক বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে ইইউ প্রধানকে চিঠি দিচ্ছেন ইইউর বিভিন্ন এমপিরা, এসব বিষয়েও বাংলাদেশের সঠিক অবস্থান তুলে ধরা যাবে। এছাড়া ২০২৭ সালের পরও ইইউ থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি তোলা হবে।

২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে ইইউ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। এ সফরের মাধ্যমে সেই চাপ প্রশমনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবে।