ঢাকা, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১

মানবাধিকার কমিশনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৭:১৭ বিকাল  

ছবি সংগৃহীত

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় পাঁচ দফা প্রস্তাবনাসহ মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অত্যন্ত সচেতন। এ বিষয়টিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিবিড়ভাবে কাজ করছে।  

তিনি বলেন, নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা যাতে না ঘটে এবং সকল ধর্মের জনগণ যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে সোচ্চার থাকবে কমিশন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সাথে দ্বিপাক্ষিক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিশনের চেয়ারম্যানের নিকট একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। 

এতে নির্বাচনকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন মনিটর করার জন্য কমিশন কর্তৃক একটি মনিটরিং সেল গঠন; ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু নির্বাচনী এলাকাগুলোকে ঝু্ঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে এতে বিশেষ নজরদারি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান; নির্বাচন পূর্বাপর সময়ে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটলে কমিশন কর্তৃক তদন্ত করা, স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ ৫ দফা প্রস্তাব উল্লেখ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা এবং কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

বৃহস্পতিবার(১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।