ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তামিমের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩, ০৯:০৭ সকাল  

রত বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি তামিম ইকবাল। দেশসেরা ওপেনারের বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে বাদ পড়ার পেছনে অনেকটাই দায়ী করা হচ্ছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তবে এবার এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে সাকিবের একটি সাক্ষাৎকার। সেখানে তামিমের বাদ পড়ার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব। বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, তামিমের বাদ পড়ার পেছনে দায়ী নন তিনি।

তামিম ইকবালকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব যদি কেউ দিয়েও থাকেন, তাহলে সেটি দলের ভালোর জন্যই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দলের প্রয়োজনে যে কারও যেকোনো পজিশনে খেলতে রাজি থাকা উচিত বলেও মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কেউ এসবের বাইরে গিয়ে যদি ভেবে থাকেন, তাহলে তিনি দলের আগে নিজের কথা ভাবছেন বলেও মন্তব্য করেছেন সাকিব।

তিনি বলেন, 'আমি যেটা বললাম এটা আমার সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয় নাই। তো এই প্রশ্ন কোথা থেকে আসছে আমি জানি না। আর যদি কেউ এমন কিছু বলে থাকে, আমি নিশ্চিত যেই বলেছে সে অথরাইজ মানুষ, এটা আগে থেকেই আলাপ করে রাখছিল যাতে করে সেটা জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এই রকম বলাতে খারাপ কিছু আছে আমি তো মনে করি না। এটা কেউ তো খারাপের জন্য বলবে না আমি নিশ্চিত।'

'আমি নিশ্চিত এই কথাটা কেউ বলে থাকে সে টিমের কথা চিন্তা করেই বলেছে যে এরকম যদি আমরা কম্বিনেশন করি, এই রকম যদি আমরা চিন্তা করি এমন অনেক কিছুই আসে একটা ম্যাচকে কেন্দ্র করে। এ রকম কম্বিনেশন বানালে কি হতো, এ রকম কম্বিনেশন বানালে কি হতো। ওই হিসেবে কেউ যদি চিন্তা করে আগের থেকেই ক্লারিফিকেশন করে রাখতে চায় আমার তো মনে হয় যে আলোচনার কোনো দোষের আছে। এমন প্রস্তাব যদি কেউ দিয়ে থাকে এটাতে কি কোনো দোষের আছে? নাকি এমন কোনো প্রস্তাবই দেওয়া যাবে না যে একজনকে আমি বলব তুমি তোমার যা ইচ্ছা কর।' -যোগ করে বলেন সাকিব।

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার উদাহরণ টেনে সাকিব বলেন, 'টিম আগে না, ব্যক্তি আগে। রোহিত শর্মার মতো খেলোয়াড় নম্বর সাত থেকে ওপেনার হিসেবে ১০ হাজার রান করে ফেলছে। ও যদি মাঝে মাঝে তিন চারে নামে বা ব্যাটিংয়ে না নামে এটা কি খুব একটা প্রবলেম হয়। এটা আমার কাছে মনে হয় একদম বাচ্চা মানুষের মতো যে আমার ব্যাট আমিই খেলব আর কেউ খেলতে পারবে না। জিনিসটা হচ্ছে এমন। টিমের প্রয়োজনে যে কেউ যে কোনো জায়গায় খেলতে রাজী থাকা উচিত। এটা টিম প্রথমে, আপনি ব্যক্তিগতভাবে ১০০ করলেন ২০০ করলেন টিম হারল তাতে কিছুই আসে যায় না।'

তামিমকে টিমম্যান না মনে করে সাকিব বলেন, 'পারসোনাল এচিভমেন্ট দিয়ে আপনি কি করবেন আসলে। আপনার নিজের নাম কামাবেন, তার মানে আপনি নিজের কথা চিন্তা করছেন। আপনি দলের কথা চিন্তা করছেন না। আপনি দলের কথা চিন্তা করছেন না মোটেও। মানুষ এই পয়েন্টগুলোই বোঝে না। আপনাকে যখন প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে, কেন প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে আপনার টিমের কোথা চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে। টিমের এভাবে হলে হয়তো টিমের জন্য ভালো হবে। সে কারণেই প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে, যদি দেওয়াও হয়ে থাকে। এটাতে খারাপের কি আছে? 

'বিষয়টি মেনে অবশ্যই আলোচনার রয়েছে, না আমি পারব, আমি এটা পারব, তোমার কি লাগবে। তুমি বল আমাকে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব দলের জন্য। তাহলেই আপনি টিমম্যান। অন্যথায় ওইভাবে চিন্তা করলে আপনি টিমম্যানই না। আপনি খেলছেন ব্যক্তিগত রেকর্ড এবং সাফল্যের জন্য। নিজের ফেম এবং নেমের জন্য, টিমের জন্য না।'-যোগ করেন সাকিব।