অপরাজনীতি ছাড়ার জন্য বিএনপি’র প্রতি ওবায়দুল কাদেরের আহ্বান
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৯:১৩ রাত
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩: আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা, অপরাজনীতি ছাড়তে বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এই আহবান জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাস, নাশকতার রাজনীতি ছাড়তে হবে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। নতুবা জনগণ এই অপরাজনীতির কালো হাত গুড়িয়ে দেবে।’ বিএনপি যেমন আচরণ করবে তাদের সাথে তেমন আচরণ করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যদি বিএনপি অস্ত্র নিয়ে আসে ঐ হাত ভেঙে দিতে হবে, আগুন নিয়ে আসলে ঐ হাত পুড়িয়ে দিতে হবে।’
বিএনপি জামাতের দেশবিরোধী হরতাল, নৈরাজ্য ও অবরোধ প্রতিরোধে আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্ভর করছে ভিসানীতির ওপর, আর আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির ওপর। কারো নিষেধাজ্ঞা ও খবরদারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন চলবে না। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা আমরা করি না। যারা ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা দেয় তাদের দেশেই গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিছুই তারা করতে পারছে না। আমরা পরোয়া করি বাংলাদেশের জনগণকে। বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া কোন ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা মানি না, মানব না। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। সংবিধান বলে দিয়েছে কিভাবে নির্বাচন হবে।’আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৩৬ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। ৩৬ দিনের সময় দিলাম, ঠিক হয়ে যান। বিএনপির কোমর ভেঙ্গে গেছে।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সুযোগ একটাই, নির্বাচনে আসেন। নির্বাচনে যদি না আসেন, খেলার আগেই হেরে যাবেন।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির পলাতক দন্ডিত নেতা তারেক রহমানকে দেয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির নিষেধাজ্ঞার কী হলো ফখরুল সাহেব?
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।