ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি তহবিল স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৮, ২০২৪, ০৯:৩৫ রাত  

ছবি সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ নয়টি দেশ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএতে সহায়তা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ঘটনার সঙ্গে সংস্থাটির কয়েকজন কর্মী জড়িত থাকতে পারে, ইসরায়েলের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সাহায্য স্থগিতের এ ঘোষণা দেয় তারা। খবর রয়টার্সের

দেশগুলো হলো- ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এর আগে ইউরোপের ছয় দেশ এ ঘোষণা দিলেও শনিবার যুক্তরাষ্ট, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা এ ঘোষণা দেয়।

এ ঘটনায় এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে নিন্দা জানিয়েছেন ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি। এ ধরনের সিদ্ধান্তকে তিনি অতিশয় বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, গাজার ২০ লাখ মানুষের জন্য এই অতিরিক্ত যৌথ শাস্তির প্রয়োজন ছিল না। 

ইউএনআরডব্লিউএ শুক্রবার বলেছে, বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দাতাদের স্থগিতাদেশকে আরও উৎসাহিত করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অভিযোগে ইউএনআরডব্লিউএর প্রধানকে সরানো উচিত। 

কাটজের মন্তব্যের জবাবে জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তর্ক করবো না। এর জবাবও দেব না। এমন অভিযোগ ইউএনআরডব্লিউএ’র নজরে আসলে জড়িতদের আমরা আন্ডারস্কোর করেছি।’

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠা হয়। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননে ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সাহায্য-সহায়তার দেয়। এ যাবত সংস্থাটি গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশকে সহায়তা করে। ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার পর ইসরাইল যে যুদ্ধ শুরু করেছিল সেই যুদ্ধের সময় ইউএনআরডব্লিউএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।