ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছেই, গাজায় নিহত ২২ হাজার ছাড়ালো
প্রকাশিত: জানুয়ারী ০৪, ২০২৪, ১২:০০ রাত
ছবি সংগৃহিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। প্রায় তিন মাস ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চলছেই। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সেখানে ২২ হাজার ১৮৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কমপক্ষে ৫৭ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।
প্রায় তিন মাস ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আবাসিক এলাকা, বাড়ি-ঘর, স্কুল, হাসপাতাল এমনকি মসজিদও ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনিরা নিরাপদে আশ্রয় নেবে এমন কোনো জায়গা এখন আর অবশিষ্ট নেই। সম্প্রতি জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়।
সেখানকার লাখ লাখ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। খাবার, পানির সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরউরি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে হামাসের কার্যালয় লক্ষ্য করে এই ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবিন্দুতে ছিলেন আরউরি।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে আরউরির নিহতের কথা ঘোষণা করেছে। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর দাহিয়ে এই ড্রোন হামলায় সাতজনের প্রাণ গেছে। তাদের মধ্যে আরউরি রয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এ হামলার মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাত আরও উসকে দিয়েছে।
ইরানের পক্ষ থেকেও হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। লেবানন ঘোষণা দিয়েছে, এ হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে। তবে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
সালেহ আল-আরউরি হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দখলকৃত গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬৬ সালে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জন্ম নেওয়া আরউরির দীর্ঘ ১৫ বছর কেটেছে ইসরায়েলের কারাগারে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেবাননে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন। তবে চলমান সংঘাতে হামাসের রণনীতির একজন মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন তিনি।
২৪ ঘন্টা আপডেট নিউজ পেতে bdtribune24/বিডিট্রিবিউন২৪ এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন